পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। . সঙ্গে মিশিতেছে-উঠিতেছে-আবার ডুবিতেছে। মিলন-সুখ-বিহবলা। লতাবধূ বোধ হয় গোদাবরীকে তাহার বিরহের জন্য সমবেদন জানাইতেছিল। হে পাঠক ! একবার এখানে এস, আই দেখি ময়ুরগুলি কেমন সুন্দর ৷ নিঃশঙ্ক চিত্তে আমাদের পাশ কাটাইয়া চলিয়া গেল! আই দেখ, বনের শোভা পীত ও শুভ্ৰবৰ্ণে সুচিত্ৰিত শৃঙ্গহীন হরিণগুলি কেমন সুন্দর লাফাইয়া লাফাইয়া বন হইতে বানান্তরে পলায়ন করিতেছে! আমরা পথের উভয় পার্শ্বস্থ সাধুগণের আশ্রম দর্শন করিয়া পূর্বাভিমুখে অগ্রসর হইয়া অরুণা ও গোদাবরীর সঙ্গমস্থলে উপনীত হইলাম। এখানকার দৃশ্য পরম রমণীয়। চতুর্দিকে নিবিড় পাদপরাজি পরিপূর্ণ সুদীর্ঘ কাননভূমি। নীরব ও বিজন । এরূপ নীরব ও গাম্ভীৰ্য্যময় স্থান অতি অল্পই দেখিয়াছি, এখানে আসিলে । এমন একটা গুরু গম্ভীর ভাবের উদয় হয় যে তাহা লেখনীতে প্ৰকাশ করা : অসম্ভব। মৃদু পাবনান্দোলিত বৃক্ষ পত্রের সরু সরু শব্দ, ও পক্ষীগণের কলরব ভিন্ন আর কিছুই শ্রত হইতেছিল না। মাঝে মাঝে অদূরস্থিত অরুণা ও গোদাবরীর কল কল ছল ছল রব বনদেবীর বীণার সুমধুর নিকণের ন্যায় বােধ হইতেছিল। ভাবিতেছিলাম বুঝি কৃত্ৰিম-সৌন্দৰ্য্যাভিমানী সভ্য জগতের বৃথা দন্তে ব্যথিত হইয়া প্ৰকৃতি দেবী লোক-লোচন হইতে দূরে এই গান্তীৰ্য্যময় নীরব ও নির্জন প্রদেশে নিজের অলৌকিক স্বৰ্গীয় সৌন্দৰ্য বিকীর্গ করিয়া বিশ্বপাতা জগদীশ্বরের ধ্যানে মগ্ন রহিয়াছেন ! এস্থান হইতে । বহুদূর পর্য্যন্ত লোকের কোনও আবাস ভূমি নাই। বিটপী সকলের মধ্যে সহকার, জম্বু, কদম্ব, বিহু প্ৰভৃতিই কেবল আমাদের পরিচিত। এ সকল । তক্সর শাখায় বসিয়া আমাদের বঙ্গীয় কা যুবক যুবতীদের প্ৰিয় । , *: স্পদক : , , ; ) لأغة ܐܢܐ - ܐ݂