পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

959 বর্গের যে অভিধান আছে তাহা হইতে ঔরঙ্গজেবের যে চরিত্র উদ্ধার করিয়াছেন তাহ পাঠে ঔরঙ্গজেবের চরিত্র সম্পর্কিত বদ্ধমূল ধারণা দূরীভূত করিতে হয় । তিনি তা জিতেন্দ্ৰিয় ছিলেনই না-বরং প্ৰথম জীবনে আমোদ প্ৰমোদ ও সুন্দরী রমণীগণের মধুর সঙ্গীতাদি শুনিতে বড় ভালবাসিতেন, শুনা যায় যে জৈনাবাদী নান্ধী এক সুন্দরী বিলাসিনী রমণীর হাব ভাবে ও সঙ্গীত-চাতুৰ্য্যে মুগ্ধ হইয়া তিনি সেই রমণীকে নিজ অন্তঃপুরচারিণী ( মদখুলা ) করিয়াছিলেন ।* বোধ হয় এখন হইতে ঐতিহাসিকগণকে চরিত্র সম্বন্ধে বিভিন্ন বর্ণের রং ফলাইতে হইবে । তবে একথা ঠিক যে ঔরঙ্গজেবের ন্যায় কৰ্ম্মঠ ও কষ্ট সহিষ্ণু নৃপতি দিল্লীর সিংহাসনে অতি অল্পই আরোহণ করিয়াছিল। যদি তিনি স্বকীয় গোড়ামির দোষে, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিদ্বেষ, বীজ বপন না করিতেন তবে ইতিহাস ভিন্ন বর্ণে চিত্রিত হইত এবং মোগল বংশ এত শীঘ্ৰ ধবংস হইত না । বাদসহ ঔরঙ্গজেবের দেহাবসানে ক্রমশঃ মোগল সাম্রাজ্যের পতন হইতে আরম্ভ হইল। ১৭২০ ডিউক অৱ খ্ৰীষ্টাব্দে নিজাম-উল-মুলক দিল্লীর সমুদয় বন্ধন ছিন্ন করিয়া ওয়েলিঙ্গটন। আহমদনগরে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার সুখ তাহার বেশী দিন ভোগ করিতে হয় নাই । কাফীজঙ্গ নামক তঁাহার জনৈক নীচ স্বভাব স্বার্থপর সেনাপতি অর্থলোভে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া আহমদনগরের দুর্গ মহারাষ্ট্রীয়দের তৃতীয় পেশাবা বালাজী বাজীরাওকে ১৭৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ছাড়িয়া দেয় । পেশাবা আবার ১৭৯৭ খৃষ্টাব্দে এই দুর্গ সিন্ধিয়াকে প্ৰদান করেন। ১৮০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে, জেনারেল ওয়েলসলি ( পরে ইনি ডিউক অব ওয়েলিংটন হইয়াছিলন ) সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্ৰা করেন এবং অতি অল্প পরিশ্রমেই এবং একরূপ বিনা রক্তপাতে আহমদনগরের দুর্গ অধিকার করেন । আহমদনগর দুর্গ যে এত অল্প আয়াসে কিরূপে অধিকৃত হইল তাহা ভাবিবার বিষয় বটে । জনপ্ৰবাদ । এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে দুর্গাধিপতি, উৎকোচ গ্ৰহণ করিয়া ১৮০৩ খ্ৰীষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে এই দুর্গ ইংরেজের হাতে ছাড়িয়া দেন ; এই উক্তি অবিশ্বাস্য ও অসম্ভব বলিয়া বোধ হয় না । কারণ যে, দুর্গ সম্বন্ধে ওয়েলিংটন নিজে

  • ‘প্রবাসী’’ চতুর্থ ভাগ, ৭ম সংখ্যা কাৰ্ডক ১৩১১ “আওয়াঙ্গজেবের আদিলীলা" শীৰ্ষক প্ৰবন্ধ দেখি। ]

.. '.. a r. “98 yo.