পাতা:ভীষণ হত্যা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভীষণ হত্যা ৷
১৯

পারেন। অবিনাশকে চিনিতে পারিলে আমি তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিব, ও তাহার নিকট হইতে আমার যাহা কিছু জানিবার আবশ্যক হয় আমি জানিয়া লইব।

 আমার কথা শুনিয়া বেলা সরলাকে ডাকিল ও তাহাকে আমার সহিত গমন করিয়া অবিনাশ বাবুকে দেখাইয়া দিতে কহিল। প্রথমতঃ সে সেই সময় আমার সহিত যাইতে অসম্মত হইল, কিন্তু আমি ও বেলা তাহাকে বিশেষ করিয়া বুঝাইয়া বলায় সে আমার প্রস্তাবে সম্মত হইল ও আমার গাড়ীতে আসিয়া আরোহণ করিল।

 আমি গাড়ী লইয়া লালদীঘির ধারে-যেস্থানে পোষ্ট আফিসের কর্ম্মচারীগণ ট্রামওয়ে গাড়ী হইতে অবতরণ করে, সেইস্থানে উপস্থিত হইলাম। গাড়োয়ানকে সেইস্থানে অপেক্ষা করিতে কহিয়া, আমি গাড়ী হইতে অবতরণ করিলাম ও গাড়ী ধরিয়া গাড়ীর নিকটেই দাঁড়াইয়া রহিলাম। সরলা গাড়ীর ভিতরেই বসিয়া রহিল। সে গাড়ীর দরজা বন্ধ করিয়া দিয়া, খড়খড়ির ফাঁক দিয়া, রাস্তা ও ট্রামওয়ের দিকে দেখিতে লাগিল। এইরূপে সেইস্থানে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ১০॥ টা বাজিয়া গেল; কিন্তু ইহার মধ্যে অবিনাশ বাবুকে দেখিতে পাওয়া গেল না। প্রায় ১১ টার সময় সরলা গাড়ীর দরজা একটু ফাঁক করিয়া আমাকে কহিল, “ঐ দেখুন, অবিনাশবাবু ট্রামগাড়ী হইতে অবতরণ করিয়া পোষ্ট আফিস অভিমুখে গমন করিতেছে। এই বলিয়া পেণ্টুলেন চাপকান-পরিহিত প্রায় ৪৫ বৎসর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে দেখাইয়া দিয়া কহিল, উহারই কথা আমি বলিয়াছিলাম, উহার নামই অবিনাশবাবু!