সম্বন্ধে আরও যদি কোন কথা মনে করিতে পারেন, তাহা দেখিবেন।
এই বলিয়া আমি সেই দিবস তাহার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিলাম।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত দাঁতন নামক স্থানটী যে কোথায় তাহা আমিপূর্ব্ব হইতেই জানিতাম। উহা একটি প্রসিদ্ধ স্থান ও ঐ স্থানে ইতিপূর্ব্বে আমি অনেকবার গমন করিয়াছিলাম। অবিনাশ বাবুর কথায় বিশ্বাস করিয়া আমি সেই স্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম। বেঙ্গল নাগপুর রেলের কল্যাণে এখন ঐ স্থানে গমনাগমন করিতে আর কোনরূপ কষ্টই হয় না, ঐ স্থানে এখন একটি ষ্টেসনও হইয়াছে। কিন্তু আমি যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন রেলওয়ে ছিল না; খাল বাহিয়া ষ্টিমার মেদিনীপুর গমন করিত ও সেই স্থান হইতে পদব্রজে অথবা শকটারোহণে দাঁতন গমন করিতে হইত। যে বহু পুরাতন রাস্তা পুরুষোত্তমে গমন করিয়াছে, ঐ রাস্তার উভয় পার্শ্বে দাঁতন গ্রাম, অর্থাৎ দাঁতন গ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া ঐ প্রশস্ত রাস্তা সোজা দক্ষিণমুখে চলিয়া গিয়াছে। ঐ দাঁতন গ্রামের একটু অবস্থা এই স্থানে বর্ণন করা বোধ হয় আমার কর্ত্তব্য কর্ম্ম। এই