নিমিত্তই আমি গিরিবালার অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতেছি। সে ঘরের বাহির হইয়া গিয়াছে সত্য, কিন্তু এখন তাহার সন্ধান পাইলে সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত না করিয়াও আমি তাহাকে ঘরে লইয়া আসিব।
বিমলাচরণ দত্তের কথা শুনিয়া আমি এখন বেশ বুঝিতে পরিলাম যে, কি নিমিত্ত বিমলাচরণ দত্ত তাহার কন্যার বর্ত্তমান ঠিকানা জানিতে এত ব্যস্ত হইয়াছেন। আরও বুঝিতে পারিলাম, চন্দ্রমুখী ওরফে গিরিবালাকে হত্যা করিবার কারণ কি, ও গিরিবালার অবর্ত্তমানে তাহার অগাধ সম্পত্তির অধিকারী কে হইবে?
গিরিবালা যখন কুলের বাহির হইয়া যায়, সেই সময় তাহার একটী পুত্র ছিল, ঐ পুত্রটি তাহার পিতামহের দ্বারা প্রতিপালিত হইয়া এখন ১৬।১৭ বৎসরের হইয়াছে। কিন্তু একদিনের নিমিত্ত ও সে তাহার মাতামহের নিকট আগমন করে নাই। গিরিবালার অবর্তমানে ঐ বিষয়ের উত্তরাধিকারী তাহার সেই একমাত্র পুত্রই হইবে।
ষষ্ঠ পরিচ্ছদ।
বিমলাচরণ দত্তের বাড়ী হইতে প্রায় ১০ ক্রোশ ব্যবধানে চন্দ্রমুখী ওরফে গিরিবালার শ্বশুর বাড়ী। গিরিবালার পুত্রের নাম শশীভূষণ, শ্বশুরের নাম কমলাকান্ত। বিমলা চরণ দত্তের নিকট