পাতা:ভীষণ হত্যা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারোগার দপ্তর, ১৫৭ সংখ্যা।

বিষয় অবগত হইবার প্রায় সুবিধাই হয় না; সুতরাং অনন্যোপায় হইয়া কার্য্য উদ্ধার করিবার জন্য পুলিস-কর্ম্মচারীগণের ঐ সকল মন্দ লোকের সাহায্য গ্রহণ করিতে হয়। এই নিমিত্তই সময় সময় পুলিস-কর্ম্মচারীরা পদস্খলিত হইয়া পড়ে ও এই নিমিত্তই তাঁহারা বিশেষ চেষ্টা করিয়াও কোনরূপ যশলাভ করিতে পারেন না।

 আমি যে গ্রামে গিয়া উপনীত হইলাম, সেই গ্রামের পঞ্চায়েৎ ও চৌকিদারগণের সাহায্যে আমাকে অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে হইল। তাহাদিগের ও তাহাদিগের আনীত অপর ব্যক্তিগণের দ্বারা অবগত হইলাম যে, কমলাকান্ত একজন অতিশয় ভয়ানক লোক। তিনি এখন বৃদ্ধ হইয়াছেন সত্য, কিন্তু তাঁহার যৌবনকালে তিনি না করিয়াছেন এরূপ কোন দুষ্কার্য্যই নাই। তিনি ডাকাইতদের একজন সর্দ্দার ছিলেন। কোন কোন ডাকাইতিতে তিনি নিজেও গমন করিতেন, একবার ধরাও পড়িয়াছিলেন, কিন্তু অর্থের জোরে ও ইংরাজ আইনের গুণে তিনি সে যাত্রা নিষ্কৃতি পান। এখন তাঁহার বয়ঃক্রম হইয়াছে, নিজে সদাসর্ব্বদা সকল স্থানে যাতায়াত করিতে সমর্থ না হইলেও, তাঁহার পূর্ব্ব-দলস্থিত ব্যক্তিগণ এখনও তাঁহার নিকট প্রায়ই পরামর্শ গ্রহণ করিয়া থাকেন। তিনি দেশের মধ্যে একজন মামলাবাজ। মামলা-মোকদ্দমার কি করিলে কি হয়, তাহা তিনি উত্তমরূপ জানেন, ও অনেক নামজাদা উকীলগণ অপেক্ষাও তিনি কুট পরামর্শ প্রদানে শ্রেষ্ঠ। এইরূপ নানাপ্রকার অসৎ উপায়ে অর্থ লুণ্ঠন করিয়া তিনি কিছু অর্থের সংস্থান করিয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহার অবর্ত্তমানে ঐ অর্থ ভোগ করিবার পূর্ব্বেই একমাত্র পুত্র অকালে কাল-কবলে পতিত হয়, ও