পাতা:ভীষণ হত্যা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৩৮
দারোগার দপ্তর, ১৫৭ সংখ্যা।

 পরদিবসেই সরলা আসিয়া সেইস্থানে উপস্থিত হইল, ও ঐ সমস্ত লোকদিগের মধ্যে দুইজনকে চিনিতে পারিল, ও কহিল, “এই দুইজনকে আমি দুই তিনবার চন্দ্রমুখীর ঘরে দেখিয়াছি, ইহাদেরই সহিত চন্দ্রমুখী বাহির হইয়া যায়, কিন্তু আর প্রত্যাগমন করে নাই।

 সরলার এই কথা শুনিয়া ঐ দুই ব্যক্তির মুখ দিয়া প্রথমতঃ কোন কথাই বাহির হইল না, অধিকন্তু তাহাদের মুখ শুরু হইয়া গেল—শূন্যদৃষ্টিতে এদিক-ওদিক দেখিতে লাগিল। উহাদের ঐরূপ অবস্থা দেখিয়া আমাদের বেশ অনুমান হইল যে, চন্দ্রমুখী ঐ দুই ব্যক্তি দ্বারা বা তাহাদের সাহায্যে হত হইয়াছে। আরও বেশ বুঝিতে পারিলাম যে, কমলাকান্তই এই হত্যাকাণ্ডের মূলীভূত কারণ; ইহাতে তাঁহার যতদূর স্বার্থ, প্রকৃত হত্যাকারীর কিছু অর্থের প্রলোভন ভিন্ন তত বিশেষ কোন স্বার্থ নাই। চন্দ্রমুখী ওরফে গিরিবালা অগাধ বিষয়ের অধিকারিণী হইয়াছিল, তাহার অবর্ত্তমানে ঐ সমস্ত বিষয় নামে মাত্র তাহার পৌত্র শশীভূষণের হইবে। কারণ, যতকাল কমলাকান্ত জীবিত থাকিবেন, ততকাল ঐ অগাধ বিষয় প্রকৃতপক্ষে তিনিই ভোগ করিবেন, শশীভূষণ নামে ঐ বিষয়ের অধিকারী থাকিবেন মাত্র।

 মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া ঐ দুই ব্যক্তিকে আমরা পৃথক পৃথক স্থানে ও পৃথক পৃথক গ্রহরীর পাহারায় রাখিয়া দিলাম। কমলাকান্ত ও তাঁহার পুত্র শশীভূষণও ঐরূপ পৃথক পৃথক প্রহরীর তত্ত্বাবধানে রহিলেন।

 এইরূপে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হইবার পর, আমরা দুষ্পাঠ্য শশীভূষণকে লইয়া নানারূপ জিজ্ঞাসাবাদ করিতে লাগিলাম দুষ্পাঠ্য