ভীষণ হত্যা । তাহার ভাবভঙ্গীতে আমরা বেশ বুঝিতে পারিলাম যে, শশীভূষণ নিজে ইহার কিছুই অবগত নহে, যাহা কিছু হইয়াছে, তাহা তাহার পিতামহ কমলাকান্তের দ্বারা ইহার পর আমরা কমলাকান্তকে লইয়া পড়িলাম । পূৰ্ব্বে ই আমরা যাহা অনুমান করিয়াছিলাম, কার্য্যেও দেখিলাম তাহাই ; অর্থাৎ ভাবিয়াছিলাম যে, কমলাকান্তের মুখ হইতে সহজে আমরা কোন কথাই প্রাপ্ত হইব না। কাজেও তাহাই হইল। তাঁহাকে যাহা কিছু জিজ্ঞাসা করিলাম, সম্ভব হউক, বা অসম্ভব হউক, তিনি সকল কথারই উত্তর প্রদান করিতে লাগিলেন যে, তিনি ইহার কিছুই অবগত নহেন। গিরিবালা নাম্নী একটী স্ত্রীলোক তাঁহার পুত্রবধূ ছিল সত্য, কিন্তু সে তাঁহার বাড়ী হইতে কোথায় চলিয়া গিয়াছে, কি মরিয়া গিয়াছে, তাহা তিনি অবগত নহেন ! তাহার যে কোন বিষয় সম্পত্তি আছে, বা কাহারও কোনরূপ বিষয়াদি প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহার কিছুমাত্র তিনি অ'ত নহেন । তিনি আরও কহিলেন, উহার অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত কখন কোন ব্যক্তিকে তিনি কলিকাতায় প্রেরণ করেন নাই । কমলাকান্তের কথা শুনিয়া বেশ বুঝিতে পারিলাম যে, তিনি যে চরিত্রের লোক, তাঁহার নিকট হইতে সেই প্রকারের উত্তর ভিন্ন অন্য কিছু আশা করিতে পারি না। কাজেই তাঁহাকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলাম না । যে দুই ব্যক্তিকে দেখিয়া সরলা কহিয়াছিল যে, ইহারাই চন্দ্রমুখীর গৃহে গমন করিয়াছিল ও ইহাদিগেরই সহিত চন্দ্রমুখী কি হইয়া যাইবার পর আর গৃহে প্রত্যাগমন করে নাই, কমদিগকেই আমরা তখন উত্তমরূপে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে
পাতা:ভীষণ হত্যা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ভীষণ হত্যা ৷
৩৯