প্রবৃত্ত হইলাম। উহারা প্রথমে কোন কথা সহজে স্বীকার করিল না, কিন্তু উহাদিগকে বিশেষ করিয়া বুঝাইয়া বলায়, পরিশেষে উভয়েই পৃথক পৃথক স্থান হইতে পরস্পরের সহিত সাক্ষাৎ হইবার পূর্ব্বে যাহা কহিল, তাহার সারাংশ প্রায়ই একরূপ। উহাদিগের কথা হইতে আমরা বুঝিতে পারিলাম যে, গিরিবালার সন্ধানের নিমিত্ত কমলাকান্ত কর্ত্ত্রিক তাহারাই নিযুক্ত হইয়া কলিকাতার গমন করিয়াছিল। তাহাদের সহিত এইরূপ বন্দোবস্ত ছিল যে, কোনরূপে গিরিবালার সন্ধান আনিয়া দিতে পারিলে কমলাকান্তের নিকট হইতে তাহারা সমস্ত খরচা বাদে দুইশত টাকা পারিতোষিক প্রাপ্ত হইবেক। ঐ প্রলোভনের বশবর্তী হইয়া তাহারা গিরিবালা ওরফে চন্দ্রমুখীর অনুসন্ধান করিতে আরম্ভ করে, ও পরিশেষে তাহার সন্ধান প্রাপ্ত হইয়া কমলাকান্তকে বলায়, তাঁহার নিকট হইতে দুইশত টাকা পারিতোষিক ও খরচা বাবুদ একশত টাকা প্রাপ্ত হয়।
ইহার পর পুনরায় ঐ দুই ব্যক্তিকে কমলাকান্ত কলিকাতায় পাঠাইয়া দেন ও নিজেও তাহাদিগের সমভিব্যাহারে তথায় আগমন করেন। এবার কমলাকান্তের সহিত আরও তিন চারি ব্যক্তি কলিকাতায় আসিয়াছে। পূর্ব্বকথিত দুই ব্যক্তির উপর এবার এইরূপ কার্য্যের ভার অর্পিত হয় যে, যদি তাহারা কোন গতিকে চন্দ্রমুখীকে একাকী আনিয়া কমলাকান্তের নিকট উপস্থিত করিতে পারে, তাহা হইলে তিনি তাহাদিগকে পাঁচশত টাকা প্রদান করিবেন। ঐ অর্থের প্রলোভনে প্রলোভিত হইয়া ঐ দুই ব্যক্তি চন্দ্রমুখীর ঘরে দুই তিন দিবস গমন করে ও দুষ্পাঠ্য কৌশল অবলম্বন করিয়া সে যাহাতে একাকী আসিয়া দুষ্পাঠ্য