পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se ভ্ৰান্তি-বিজয় সম্বন্ধ নির্ণয়ের ক্রোড় পত্রের ৪৪ পৃষ্ঠায় বিদ্যানিধি মহাশয় আবার নগেন্দ্র বাবুর মত সমর্থন করিয়া পূৰ্ববৰ্ত্তী সিদ্ধান্তের ভ্ৰম স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। আদিশূব ও জয়স্তের অভিন্নত্ব যে ভিত্তিহীন তাহা বিদ্যানিধি মহাশয় কি জানেন না ? তঁহার পূর্ববৰ্ত্তী সিদ্ধান্ত ও ভ্ৰমপূর্ণ এবং পরবর্তী ক্রোড় পত্রের সমর্থিত সিদ্ধান্ত আরও অধিকতর ভ্ৰমপূর্ণ। কোনটাই ঠিক নহে। আদিশূর। বলিয়া কোন ঐতিহাসিক বাজাই যখন ছিলেন না। তখন তাহার অ্যাপিভােব কাল ঠিক কবা শূন্যে সৌধ নিৰ্ম্মােণ ব্যতীত আর কিছুই নহে । বিদ্যানিধি মহাশয়ই বলুন আর প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণবই বলুন কেহই আদিশূরের সংশয় শূন্য প্রমাণ দিতে পারেন নাই কনৌজ ব্ৰাহ্মণ পঞ্চকের আগমন কাল নিৰ্দ্ধারণ ও করিতে পারেন নাই । হরিবল্মদেবের তাম্রশাসন ও ভদদেব ভট্টের কুল প্রশস্তি আলোচনা করিলে প্ৰতীয়মান হইবে যে বঙ্গদেশে তখন যাঞ্জিক বৈদিক ব্ৰাহ্মণগণ রবর্তমান ছিলেন। আদিশূরেব নামে কোন ব্যক্তিরই অস্তিত্ব ছিল না ; তখন তঁাহার পুত্ৰেষ্ট যজ্ঞই বা কোথায় ! আর তঁাহার কর্তৃক কন্যকুজ হইতে ব্ৰাহ্মণ পঞ্চকের অনিয়ন বৃত্তান্তই বা কোথায়? এমন কি বল্লাল কর্তৃক ' কৌলীন্য মৰ্যাদা স্থাপনের কথা সত্য নহে বলিয়া বাদ প্রতিবাদ চলিতেছে। গৌড়রাজমালায় লিখিত হুইয়াছে যে “বৰ্ম্মরাজকে পদচ্যুত বা পদানত করিয়া বল্লালসেন বঙ্গে বা রাঢ়ে স্বীয় আধিপত্য বিস্তুত করিয়াছিলেন”। শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। ইহার প্রতিবাদ করিয়া বলিতেছেন যে ইহা সম্পূর্ণ অসত্য। পাঠকগণের অবগতির জন্য ১৩১৯ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যা প্রবাসী হইতে রাখাল বাবুর “লক্ষণসেনের সাদয়” শীর্ষক প্ৰবন্ধ হইতে এক্ষণে কিয়দংশ উদ্ধত হইল। ' “বিজয়সেন যে বঙ্গ অধিকার করিয়ুছিলেন। তঁহার নবাবিষ্কৃত অণুপ্ৰশাসনই তাহার প্রমাণ। বৰ্ম্মবংশীয় হরিবল্লুদের ইহার বহু পূৰ্ব্বে