পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৌলিন্য প্রথার প্রতিষ্ঠাতা কে ? S. স্বৰ্গারোহণ করিয়াছেন, তাহার তাম্রশাসন ও ভবদেব ভট্টের খোদিত লিপি তাহার সাক্ষ্যদান করিতেছে। * * বল্লালসেন সম্বন্ধে এক মাত্র বিশ্বাসযোগ্য কথা এই যে বৰ্দ্ধমান ভুক্তির উত্তর রাঢ়মণ্ডল তাহার অধিকারভুক্ত ছিল এবং তিনি অনু্যান একাদশবর্ষ কাল রাজত্ব করিয়া ছিলেন । তঁহার পিতা বিজয়সেন ৩১ বা ৩৬ বৎসর রাজত্ব কবিয়াছিলেন। তাহার কিয়দংশকাল রাঢ়ে সামান্য ভূস্বামীর ন্যায় অতিবাহিত হইয়াছিল। সম্ভবতঃ রামপালের মৃত্যুর পর পালসাম্রাজ্যোব বন্ধন শিথিল হইলে বিজয়সেন বরেন্দ্রে পদক্ষেপ করিতে সাহসী হইয়াছিলেন। লক্ষ্মণ সংবৎ হইতে ইহা প্ৰমাণিত হইতেছে যে বল্লালসেনের রাজত্বকাল ১১১৪ খৃঃ অব্দে শেষ হইয়াছিল। বল্লালসেন সত্যই কৌলীন্য প্রথার প্ৰতিষ্ঠাতা কি না তাহার সত্য প্ৰমাণ অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই । কৌলীন্য . প্ৰথা সম্ভবতঃ মুসলমান বিজয়ের বহু শতাব্দী পরে কয়েকজন ব্ৰাহ্মণ কর্তৃক সৃষ্ট হইয়াছিল। যদি কোন দিন প্ৰমাণ হয় যে, সত্য সত্যই বল্লালসেনের সময়ে কৌলীন্য প্রথার প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল তাহা হইলে বুঝিতে হইবে যে প্ৰাচীন অভিজাত সম্প্রদায় বৌদ্ধধৰ্ম্মানুরাগী ও প্রাচীন পালরাজ বংশের পক্ষপাতী দেখিয়া বিজয়সেন ব্ৰাহ্মণ বৈদ্য ও কায়স্থ জাতির মধ্যে আভিজাত্য সৃষ্টি করিবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, তৎপুঞ্জ বল্লালসেনের সময়ে আদিশূর ও পঞ্চ ব্ৰাহ্মণাদি সম্বন্ধীয় উপাখ্যান সৃষ্টি করিয়া নূতন আভিজাত্য প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। মুসলমান আক্রমণে বৌদ্ধধৰ্ম্ম লুপ্তপ্রায় না হইলে এই নবজাত সম্প্রদায় টিকিত কি না। সন্দেহ । দৈববালে শক্রিপক্ষ নিহত হইলে পাদপুহীন দেশে আভিজাত্যের নবজাত বৃক্ষ বৃহদাকার প্রাপ্ত হইয়া দেশকে আঁচ্ছেন্ন করিয়াছিল, ইহাই বোধ হয় ঐতিহাসিক সত্তারূপে প্রমাণিত হইবে। সম্প্রতি বৰ্দ্ধমান জেলার কাটােয়। সাবডিভি জনের অন্তর্গত সীতাহাটী গ্রামে আবিস্কৃত বল্লালসেনের নূতন তস্রশাসনে বল্লালসেন সম্বন্ধে বিশেষ কোন কুণাই পাওয়া যায়, না, যাহা পাঞ্জা