পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSы? ভ্ৰান্তি-বিজয় । বঙ্গরাজের মহামন্ত্রী মহাপাত্ৰ-সন্ধি-বিগ্ৰহী ছিলেন । আদিদেবের পুত্ৰ গোবৰ্দ্ধন। গোবৰ্দ্ধন জনৈক বন্দ্যাঘটীয় ব্ৰাহ্মণের দুহিতার সাঙ্গোকার } পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। গোবৰ্দ্ধন এবং সাঙ্গোকার পুত্ৰ ভবদেব বালবলভীভূজঙ্গ দীর্ঘকাল হরিবর্ম দেবের মন্ত্রী ছিলেন এবং পরে হরিবর্ম দেবের পুত্রেরও মন্ত্রিপদারুঢ় ছিলেন । এই ২য় ভবদেব রাঢ়দেশে একটি জলাশয় খনন করাইয়াছিলেন ; এবং ভূবনেশ্বরে মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া সেই মন্দিরে নারায়ণ অনন্ত এবং নৃসিংহ মূৰ্ত্তি স্থাপিত করিয়াছিলেন । ভবদেব ভট্টের কুলপ্ৰশস্তির সারমর্ম “গৌড়রাজমালার” ৫৬ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে। ঐ পুস্তকের ৫৯ পৃষ্ঠায় আরও উক্ত হইয়াছে যে, ভবদেব ভট্টের বংশবৃত্তান্তের সহিত আদিশূর কর্তৃক ব্ৰাহ্মণানয়ন বৃত্তান্তের সামঞ্জস্য অসম্ভব। ভবদেব সাবর্ণগোত্রীয়, তাহার পূর্বপুরুষগণ সিদ্ধলগ্রামবাসী এবং তাহার জননী বন্দঘাটী-বংশীয় ছিলেন । প্ৰশস্তির রচয়িত ভবদেবের সুহৃদ বাচস্পতি ভবদেবের পূর্বপুরুষগণের সংবাদ রাখিতেন। প্ৰশস্তিতে ভবদেব বাল-বলভী ভূজঙ্গকে ধরিয়া সাত পুরুষের বিবরণ আছে । প্ৰশস্তিতে উল্লিখিত প্ৰথম ভবদেব খৃষ্টীয় ১০ম শতাব্দীর শেষপাদে বৰ্ত্তমান ছিলেন, এবং এই প্ৰথম ভবদেব যে গৌড়নুপ হইতে হস্তিনী ভিট্ট গ্রাম প্ৰাপ্ত হইয়ছিলেন তিনি সম্ভবত প্ৰথম মহীপাল । বাচস্পতি মিশ্ৰ যে ভাবে প্ৰশস্তিয় প্ৰায়ন্তে সিন্ধল গ্রামবাসী সাবর্ণ গোত্রীয় ব্ৰাহ্মণগণের প্রসঙ্গের অবতারণা করিয়াছেন, তাহাতে মনে হয়, স্মরণাতীত কাল হইতে সাবর্ণ গোত্রীয় শ্রোত্রিয়েরা তথায় বাস করিতেছিলেন । এখন যেমন সাবর্ণগোত্রীয় রাঢ়ীয় বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণ মাত্রেই আদিশূরানীত বেদগৰ্ভ বা পরাশয় হইতে বংশ পরিচয় দিয়া থাকেন তখন এই প্ৰবাদ প্ৰচলিত থাকিলে, বাচস্পতি বোধ হয় প্রিয় সুহৃদের প্রশস্তিতে তাহার উল্লেখ করিতে বিস্মৃত হইতেন না । ভবদেবের ভুবনেশ্বরের প্রশস্তিতে আদিশূর কর্তৃক সাবর্ণ গোত্রীয় ব্ৰাহ্মণ আনয়নের প্রতিকূল প্রমাণ দেখিয়া