পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাত শতীর সগৰ্বোক্তি” । । আপন স্ত্রীর ব্ৰত নিৰ্বাহ জন্য ব্ৰাহ্মণ আনিয়াছিলেন । ( ૧૨ ન’ মার্চের এডুকেশন গেজেট)। বৈদ্য কুলজীমতে আদিশূর। অপুত্ৰক ছিলেন, এবং পুত্রোৎপাদনার্থ’। যজ্ঞ করিবার জন্য ব্ৰাহ্মণ আনিয়াছিলেন। রাঢ়ীয় ঘটক বাচস্পতি মিশ্র স্বকৃত কুলরাম গ্রন্থে লিখিয়াছেন, আদিশূর কাশীর অধিপতির নিকট হইতে বেদপারগ ব্ৰাহ্মণ চাহিয়া পাঠান কাশীর রাজা ব্ৰাহ্মণ দিতে অস্বীকার করাতে আদিশূর। তঁহাকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া করম্বরূপ বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ প্ৰাপ্ত হন।” গৌড়ে ব্ৰাহ্মণ ৩৯ পৃষ্ঠা। পাঠকগণ দেখুন, এক ব্ৰাহ্মণ আনয়ন লইয়া কত প্রকার গল্প চলিয়াছে। ইহার কোনটী সত্য, কোনটী মিথ্যা, কিছুই নির্ণয় করিবার উপায় নাই । নুলেপঞ্চাননের উক্তির সাতশতীগণের প্রত্যুক্তিতে প্ৰকাশ আছে ষে কান্যকুব্জায়গণ আদিশূরের যজ্ঞ করিয়া পতিত হন :- “গৌড়দেশে যজ্ঞ করে হইল অধোগতি । কান্যকুব্জ ঠেলে ফেলে তোলে সাতশতী ॥ भ्रांत्रिभूव्र शंख्ठ श्ल आग्रांड्) यांऊन । সাতশতী হ’তে দোষ হইল মাৰ্জন ৷ (১৩০৫ সালের ৩রা বৈশাখের এডুকেশন গেজেটে কুলশাস্ত্ৰ প্ৰবন্ধস্তৃত । ) নিস্তেজ সাতশতীগণ কিরূপ স্পৰ্দ্ধার সহিত প্ৰত্যুত্তর করিয়াছেন, পাঠকগণ । মনোযোগের সহিত পাঠ করুন ; তাহা হইলে বুঝিতে পারিবেন। যে, আদিশূরের যাজন করিয়া কান্তকুজীয় পঞ্চগোত্রীয় ভট্টনারায়ণাদির কি দুৰ্দশাই না হইয়াছিল ? শেষে স্থান পাইলেন না, কান্তকুজাধিপতিও কিছুই করিতে পারিলেন না, দোষে বঙ্গদেশের সাতশতীর কন্যা গ্ৰহণ করিয়া সংসারলীলার শেষ করিতে হইল। তঁহাদের জীবনলীলার শেষ হইলেও তঁহাদের শ্ৰাদ্ধকাৰ্য্যে তঁহাদের পূর্বপক্ষীয় জ্যেষ্ঠ পুত্ৰগণকে