পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਸ | ***్మ ব্ৰাহ্মণোৎপত্তি মাৰ্ত্তণ্ডাধ্যায়ে কত শ্ৰীত ব্ৰাহ্মণের ‘ব্যাস’ উপাধি লিখিত আছে ; বিরুদ্ধবাদিগণ উক্ত পুস্তকী পাঠ করিলেই গনোেহ ভুঞ্জন কুরিতে পারিবেন। অধ্যাত্ম রামায়ণে ও স্কন্দ পুরাণে ব্যাস ব্রাহ্মণের মহিমা বর্ণিত আছে :- “বিপ্রেভো ব্যাসমুখ্যোভ্যোদাত্ৰা যৎ ফলমশ্বতে। তৎফলং সম্ভবেত্তস্য সত্যং সত্যং ন সংশয়ঃ।” অধ্যাত্ম রামায়ণ, ১ম সৰ্গ, ৪০শ শ্লোক । তদ ব্যাসেভ্যঃ পণ্ডিতেভাঃ কৰ্ম্মনিষ্ঠেভ্য এবচ [ স্কন্দপুরাণ । “দ্বৈপায়নোহস্মি ব্যাসানাং কবীনাং কাব্য, আত্মবান ৷” শ্ৰীমদ্ভাগবত ১১শ স্কন্দে ২% ! * ‘আমি ব্যাসগণের অর্থাৎ বেদ বিভাগ কৰ্ত্তাগণের মধ্যে দ্বৈপায়ন” পরম ভাগপৎ উদ্ধবকে শ্ৰীভগবান নিজে ঐ কথা বলিয়াছিলেন । অতএব, ব্যাস শব্দ ব্যক্তি বিশেষের নাম নহে আখ্যা মাত্ৰ । মাহিষ্য-যাজী (গৌড়াদ্য-বৈদিক ) ব্যাস ব্ৰাহ্মণগণ যে পূর্বে বিদ্যা বাহ্মণ্যে দেশপূজ্য ছিলেন, নিম্নোক্ত দুইখানি প্ৰাচীন সনন্দ পত্র তৃহার (aーマ電 নিদর্শন। বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করিলে এইরূপ প্ৰাচীন দলিল, সনন্দ পত্ৰ তাম্রশাসন ইত্যাদি। আবিষ্কৃত হইতে পারে। প্রত্নতত্ত্ব আলোচনায় জাতীয় ইতিহাসেব অন্যান্য কত বিশিষ্ট উপকরণ ও এইরূপে আবিষ্কত হইতে পারে। পূজনীয় ভূদেবগণের দৃষ্টি এ বিষয়ে আকৃষ্ট হইবে কি ? দ্বারিবেড়ে নিবাসী পণ্ডিত সতীশ্চন্দ্ৰ মাইতি মহাশয় স্বচক্ষে দেখিয়া এই দুইখানি প্ৰাচীন সনন্দের নকল পাঠাইয়াছেন। মূল সনন্দ র্যাহাদিগকে প্রদত্ত হইয়াছিল, তঁহাদের উত্তরাধিকারিগণের নিকট উহ্য রক্ষিত আছে ।