পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অম্বষ্ঠ দৰ্পণ-প্ৰণেতার ऐठेद्धिक्ल । 〉の 。 বিশুদ্ধতা স্বীকার করিলে বিদ্যানিধি মহাশয়ের ব্ৰহ্মহত্যার পাতক হইত না । বড়ই মাক্ষেপের বিষয়, এই সমস্ত প্ৰমাণসত্ত্বেও মূঢ়ব্যক্তিগণ ব্যাসোত্ত নাম শুনিলেই কৰ্ণে হস্তক্ষেপ করিয়া ঘৃণা প্ৰকাশ করিয়া থাকেন । এরূপ ভ্ৰমপূৰ্ণ ঘূণা আজকালের দিনে শিক্ষিত লোকের মধ্যে থাকিতে পারে না ; কারণ শাস্ত্ররূপ রবিরশিল্প সর্বত্র পরিব্যাপ্ত হইয়া ভ্ৰমান্ধকার দূর করতঃ সত্যের জয় ঘোষণা করিয়া দেয়। বৈশ্যবর্ণান্তৰ্গত কৃষিজীবিমাহিষ্যযাজী গৌড়াদ্য বৈদিক ব্ৰাহ্মণগণ অদ্যাপি উক্ত মাহিষ্য ছাড়া অনাচারী বা বহুজাতীির যাজন করেন না । অম্বষ্ঠদৰ্পণ-প্ৰণেতা লিখিয়াছেন যে,- “এমন কি বৈদ্যজাতি সমগ্ৰ বঙ্গদেশের উপর। প্ৰভুত্ব লাভ করিলেও উক্ত ব্ৰাহ্মণগণ অজানিত অপরিচিত বৈদ্যজাতির পৌরোহিত্য করিতে অসন্মত হন, সুতরাং আদিশূরের সময় পৰ্য্যন্ত বৈদ্য ও কায়স্থ জাতি পুরোহিতবিহীন ছিলেন। তখন আদিশূর অনন্ডোপায় হইয়া কান্যকুব্জ হইতে ব্ৰাহ্মণ আনয়ন করেন। সেই পঞ্চব্ৰাহ্মণ স্বদেশ প্ৰত্যাগমন করিলে অযাজ্যজাতির যাজন করিয়া পতিত হইয়াছেন, বলিয়া তাহদের আন্ধীয়েরা তাহাদিগকে সমাজচু্যত করেন। তখন র্তাহারা নিরুপায় श्व পুনরায় বঙ্গদেশে ফিরিয়া আসিলেন এবং অদ্যাবধি তাহারা পূরুষানুক্ৰমে বঙ্গদেশে বাস করিতেছেন। ইহঁরাই কুলীন শ্ৰোত্রীয় ও গৌণ নামে খ্যাত । এই পতিত ব্ৰাহ্মণগণই বৈদ্য ও কায়স্থের পুরোহিত बों यांसक ।” ‘কৈবৰ্ত্তের ব্ৰাহ্মণগণ বহুকাল পৰ্যন্ত এই পতিত ব্ৰাহ্মণদিগকে কন্যা দান করেন নাই। ইদানীং তাহারা জাতীয় গৌরব ত্যাগ কবিয়া বিগত দেড়শত বৎসরের মধ্যে পূর্ববঙ্গদেশে মাত্ৰ শ্রোত্রীয় ব্রাহ্মণের সহিত কন্যা আদান প্ৰদান করিতেছেন?--অম্বষ্ঠ দৰ্পণ । ’