পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংঘর্ষের কারণ। “ : ነፃ¢ বল্লালের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়াতে কৌলিষ্ঠাংশে কিঞ্চিৎ পশ্চাৎপদ । হন। বল্লাল লাট ও কঙ্কৰীপের রাজাদিগকে তাহাদিগের শরণাগত ব্রাহ্মণদিগকে তাড়াইয়া দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাহারা তাহা, না করায় তাহদের প্রতি বিরক্ত হন, এবং তঁহাদিগকে যথোচিত শাস্তি । বিধান করিতে চেষ্টা করেন , কিন্তু প্ৰকাশ্য শাস্তিবিধানে অসমর্থ রিধায় কৌশলে উদ্দেশ্য সিদ্ধ করেন। মাহিষ্যজাতীয় অধিকাংশ লোক কৃষিজীবী ছিলেন। হলকর্ষণ সময়ে অজ্ঞাতসারে অনেক প্ৰাণীহত্যা হয়। বৌদ্ধধৰ্ম্মের মতে প্ৰাণীহত্যা মহাপাপ। বল্লাল এই অছিলায় কৃষিকাৰ্য্য ও কৃষিজীবী দিগকে সাধারণের নিকট হেয় প্ৰতিপন্ন করিতে চেষ্টা পান । পালরাজার বৌদ্ধ ছিলেন, এবং তঁহাদের সময় এবং প্রচ্ছন্ন-বৌদ্ধ বল্লালের সময় লোকের অজ্ঞাতসারে বৌদ্ধধৰ্ম্ম অনেকাংশে হিন্দুদিগের মধ্যে সংক্ৰমিত হইয়াছিল; এই কারণে সাধারণে তাহা কতক কতক বিশ্বাস করিল এবং হেয় কৰ্ম্ম বলিয়া সাধারণের বিশ্বাস জন্মিল। এই হইতেই কৃষিকাৰ্য্যের প্রতি লোকের অনাস্থা দেখা যায়, ইহার পূর্বে ছিল না। বল্লাল পূর্ববঙ্গবাসী, পূর্ববঙ্গে তাহার রাজধানী ছিল, তাহার রাজধানীর নিকটবৰ্ত্তী স্থান সকলেই তাহার এই গৃঢ় নীতি অধিক কাৰ্য্যকারিণী হইয়াছিল। এই জন্যই, পূর্ববঙ্গে , অন্যান্য স্থানের অপেক্ষা DBB DBD BD BDB DD E w কুলকালিমা গ্ৰন্থ প্রণেতা বারেন্দ্ৰ শ্রেণীর ব্ৰাহ্মণ কুলতিলক । 'डिनि বহুবৎসর পুৰ্বে স্বাধীনভাবে কুলকালিমা গ্রন্থে বল্লালচরিত্র সমালোচনা করিয়া গিয়াছেন। বল্লাল পরাশর ব্ৰাহ্মণের প্রতি কিরূপ অত্যাচার করিয়াছিলেন এবং লাট ও কঙ্কাদ্বীপের রাজগণ বল্লালের আদেশমত নিজ পুরোহিত ব্ৰাহ্মণগণকে পরিত্যাগ না করায়, তঁহাদিগকে ক্ষমতার কিছু করিতে না পারায়, মাহিষ্যজাতির বৈশ্যোচিত কৃষিকাৰ্য্য নিন্দনীয় কাৰ্য্য বলিয়া প্রচার করতঃ মাহিষ্যজাতি পতিত ইহা প্ৰকাৱান্তরে সাধারণের