পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ro ib' ভ্ৰান্তি-বিজয় । ৫ম। উড়িষ্যার প্রসিদ্ধ প্ৰাচীন কবি জগন্নাথ দাসের পূর্ব পুৰুষ মাধবদাস কবিভট্ট উড়িয়া ভাষায় শ্ৰীশ্ৰীক্ষেত্ৰ মাহাত্ম্যম, নামক কাব্যে লিখিয়াছেন ঃ ‘গৌড় বাঙ্গালায় কৈবৰ্ত্ত মাহিষ্য বিক্রমে যেমতি হয় সমুদ্রের অশ্ব ।” ওষ্ট । বামন সংহিতা ও বামন পুরাণ পাঠ করিলে অবগত হওয়া যায় যে, বলী রাজার দান পরীক্ষার জন্য শ্ৰীভগবান বামনরূপ ধারণা করিয়া তঁাজার ষজ্ঞস্থলে গমন করিতেছিলেন, পথিমধ্যে যাইবার সময়ে কৈবৰ্ত্তকে কখন কৈবৰ্ত্ত বলিয়াছেন কখন মাহিষ্য বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন । পণ্ডিত রঘুরাম বিদ্যাবাগীশ প্রণীত ১২৭০ সালে কলিকাতা বটতলা দিকৃনির্ণয় যন্ত্রে প্রকাশিত বাঙ্গালাভাষায় “বলীর পরীক্ষা” নামক প্ৰাচীন পুস্তকে লিখিত আছে :- “অতঃপর ভগবান ডাক দিয়া বলে । মাহিষ্য বৈশ্যের তুমি অতি সাধু ছেলে । কৃষিকৰ্ম্মে শস্য কাৰ্য্যে হইলা প্ৰবৃত্ত । তোমাদের জাতি হয়। হালিক কৈবৰ্ত্ত ৷ সিদ্ধান্ত সমুদ্র। রঘুরাম বিদ্যাবাগীশ মহাশয় মাতিষায{জী ব্রাহ্মণ ছিলেন না। —তখন এইরূপ মাহিষ্য আন্দোলনের অস্তিত্ব ও ছিল না । বিদ্যাবাগীশ মহাশয় কৈবৰ্ত্তের দিকে টানিয়া এইরূপ মিথ্যা গল্প লিখিয়া গিয়াছেন। ইহা কখনও সম্ভব হইতে পারে না ? ৭ম । রাঢ় দেশের স্থানে স্থানে দুইশত বা ততোধিক বৎসরের পূৰ্ববর্তী ব্ৰাহ্মণ অধ্যাপকদিগের হস্তলিখিত এবং বিরচিত জন্মকোষ্ঠী সমূহে কৈবৰ্ত্তাদিগকে মাহিষ্য বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। অতি প্রাচীন