পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক অক্ষরের বুৎপত্তি । SR o Gt বাসীরা উহাদিগকে কৈবৰ্ত্ত এইরূপ একটা নামেও আহবান করিয়া থাকে। এস্থলে মনু মার্গব শব্দকে দাশ শব্দের পর্য্যায় বলিয়া স্পষ্ট নির্দেশ করিলেও কোষ শাস্ত্রের নিয়মানুসারে মনুকেও অগ্রাহা করিয়া অমরসিংহ ধীবর অর্থে মার্গব শব্দটী পরিত্যাগ করিলেন এবং দাশ ও কৈবৰ্ত্ত মাত্র এই দুইটী শব্দকে পৰ্য্যায়ারূপে গ্ৰহণ করিলেন। বস্তুতঃ শাস্ত্রকারগণ কোন পদার্থের নানাবিধ পরিভাষা করিলেও কোষকার তঁহার সকলগুলি গ্ৰহণ করেন নাই, এবং কোষকার গ্ৰহণ করেন নাই বলিয়া শাস্ত্রীয় পরিভাষা পচিয়া যায় না বা অপ্ৰমাণ হয় না । ব্যাসাদি মহর্ষিগণ মহিষ্যের কৈবৰ্ত্তারূপ পরিভাষান্তর গ্ৰহণ করিলেও অজ্ঞাবহুল সাধারণ লোকে তাহা ভালরূপ সর্বত্ৰ গ্ৰহণ করে নাই ; এই জন্য মহিষ্যেরা পৰ্য্যায়ে অমরসিংহ কৈবৰ্ত্ত শব্দ লিপিবদ্ধ করেন নাই সুতরাং কোষমূলক কাব্যাদিতে মাহিষ্যার্থে কৈবৰ্ত্ত শব্দের বহুল প্রয়োগ দেখা যায় না ; এইজন্য স্মৃতিসিদ্ধ হ’হলেও অমরকোষে অম্বষ্ঠ পৰ্য্যায়ে বৈদ্য শব্দ লিখিত হয় নাই। শাস্ত্ৰে ভূজকণ্ঠ ও অম্বষ্ঠ একই জাতির নাম হইলে ও কোষকার তাহা গ্ৰহণ করেন নাই । ঘবন ও করণ শব্দ এবং নিষাদ ও পারিশব শব্দ স্মৃত্যুক্ত পৰ্য্যায় হইলেও অমকোষে তাহা পৰ্য্যায় রূপে গ্ৰাহ হয় নাই। এইরূপে স্মৃত্যাদিতে দ্রব্য, গুণ, ধৰ্ম্ম ও জাতির অনেক নাম প্ৰসিদ্ধ আছে, কোষকারগণ তাহা একেবারেই গ্ৰহণ করেন নাই। ইহাতে শাস্ত্রোক্ত তত্ত্বৎ সজ্ঞা অপ্রমাণ হয় না। বস্তুতঃ কোষের পর্য্যায় দ্বারা স্মৃতি-পুরাণোক্ত পরিভাষা বা পৰ্য্যায়ের পরীক্ষা করিতে যাওয়া বিড়ম্বন মাত্ৰ । যাহ্বাদের বিদ্যা কেবল অমরকোষ দ্বারা সীমাবিশিষ্ট, আঁঠুহারা শাস্ত্রীয় পরিভাষার শক্তি না বুঝিরা কেবল অমরকোষ প্রমাণ্যে ক্ষত্র-বৈশ্যা-জাত মাহিষ্যাপার-নাম কৈবর্তকেণ্ড । মনুক্ত কৈবৰ্ত্ত বলিয়া ভ্ৰম করেন । অমরসিংহের কোষাবলম্বী পণ্ডিতন্মান্য ব্যক্তিগণের ভ্রম নিরাস করিবার জন্য মাহিষ্যজাতির একমাত্র মাহিষ্য নামেই সর্বত্র পরিচিত হওয়া আবশ্যক ।