পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RYr वक्षि-दिखश् । শরীর যেমন ইতরেতরাশ্রয়ী, ক্ষুদ্র, বৃহৎ নানা প্ৰকার যন্ত্র সমষ্টি দ্বারা পরিচালিত হইয়া রক্ষিত হইতেছে, সমাজ ও তদ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন শক্তি বিশিষ্ট মনুষ্যযন্ত্র সমূহ দ্বারা পরিচালিত ও রক্ষিত। প্রত্যেক শরীয়যন্ত্রই যেমন পরস্পর আশ্রয়াশ্রয়ী সম্বন্ধে সম্বন্ধ, একের অভাবে অন্থের চলে না, সমাজ-শরীরও সেইরূপে আশ্রয়াশ্রয়ী সম্বন্ধে সম্বদ্ধ না হইলে কোন প্রকারে চলিতে পারে না । সমাজ-শরীর-যন্ত্র সকল সেইরূপ পরস্পর অধীন। সকলেই যখন অন্যোন্যাশ্রয়ী, একের অভাবে অন্তের - চলে না, তখন কোন যন্ত্রেরই ‘অমুক আমার-অধীন”, “আমি সকলের বড়', “আমার অপেক্ষা কেহ শ্রেষ্ঠ নাচে’, মনে করিয়া গৰ্ব্বিত হইবার উপায় নাই । ভগবান এমন সুন্দরীরূপে জগৎকে সৃষ্টি করিয়াছেন ষে, কোন সম্প্রদায়েরই গর্বিত্ত হওয়া সম্ভব নহে। জ্ঞান ধৰ্ম্ম গীতায় উক্ত 交t豆一 “তপন যাহার মহতী সভার ক্ষুদ্রবিন্দু জ্যোতিষ্মান । , তার মাঝে বড় দেখ আপনারে, অহো তুমি কি অজ্ঞান ৷” শ্ৰীভগবানের সৃষ্টি রাজ্যে সর্বতেজের আধার। প্ৰদীপ্ত প্ৰকাণ্ড সুৰ্য্যপিও সামান্য ক্ষুদ্রবিন্দু মাত্ৰ বলিয়া বিবেচিত হইয়াছে। যখন সামান্ত ভূত্য হইতে ধনকুবের। পৰ্য্যন্ত সকলেই পরস্পর সাহায্য সাপেক্ষ, তখন নিতান্ত দুরদৃষ্ট না হইলে গৰ্ব্ব আসিবে কেন ? এই গর্বের জন্যই বিশ্বজনীন প্ৰেম বিকাশের পথ রুদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। পরশ্ৰীকান্তর ও দিগ বিদিগ জ্ঞানশূন্য হইয়া “সভ্য’ সমাজের মহাত্মাগণ আত্মহত্যা করিতেছেন । ঘে ভাতি আৰ্য্য মাতা পিতার সন্তান তাহদের ধমনীতে ষে পবিত্ৰ আয্য শোণিত এখনও প্রবাহিত হইতেছে, তাহার। আর স্বতন্ত্র প্রমাণ প্রয়োগোয় আবশ্যকতা নাই। মাহিষ্যজাতির মাতা ও পিতা উভয়ই দ্ধিজাত ও আয্য; সুতরাং তঁহাদের সন্তানও দ্বিজাতি বা দ্বিজধৰ্মী ও