পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেন্সাসে গবৰ্ণমেণ্টের সুবিচার । 然><, উপস্থিত হইলেন এবং পুনরায় রাঢ়ীর ব্ৰাহ্মণদিগের কুলবিচার , জন্য তঁহাকে আহবান করিলেন । কুলাচাৰ্য্যগণ বলিয়া থাকেন, এই দস্তখাস সভায় ৫৭ম সমীকরণ হইয়াছিল। ধ্রুবানন্দ মিশ্র ও উক্ত সমীকরণ করিবার কালে দত্তখাসের সভায় ঘটকগণ কর্তৃক কুল বিচারের প্রসঙ্গ উথাপন করিয়াছিলেন ।” • রাঢ়ীয় ঠাকুর সমাজের কুল প্রথার সংস্করণের এই শেষ ব্যবস্থা। ভারতের ভাগ্যবিধাতা ইংরাজরাজের সুবিচারে ন্যায়দৃষ্টিতে গৌড়ান্ত বৈদিক ব্ৰাহ্মণ সম্প্রদায় গত সেন্সাসে “বৰ্ণবিপ্রের’ আখ্যা চষ্টতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছে। সুযোগ্য সেন্সাস সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট sëtafë grift ( L. S. S. O'mally Esqr, I C. S.) ricka 'të'l- দুর গভীর গবেষণার পর চাষীকৈবৰ্ত্ত জাতিকে “মাহিষ্য’ আখ্যায় এবং তৎপুরোধা ব্ৰাহ্মণ সম্প্রদায়কে কেবলমাত্র “ব্ৰাহ্মণ” আখ্যায় পরিচিত।” করিয়াছেন । বঙ্গীয় মাহিষ্য সমিতির সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত বাবু নরেন্দ্ৰ নাথ দাস মহাশয়ের দরখাস্ত পত্র ও মৎপ্ৰাণীত “ব্ৰাহ্মণ-বিচারে ভ্ৰান্তি-বিজয়” সাদবে গ্ৰহণ করিয়া সাহেব বাহাদুর তল্লিখিত অকাট্য যুক্তি অনুসারে ১৯১০ খ্রীঃ ৩রা জানুয়ারি তারিখে বঙ্গের জেলায় জেলায় মহকুমায় মহকুমায় তঁহার হুকুম জারি করিলেন। এমন কি, সত্যের খাতিরে ন্যায়ের মৰ্য্যাদা রক্ষা করিয়া, সাহেব বাহাদুর ‘বঙ্গের শোভা রাঢ়ীয় ঠাকুরগণকে বর্তমানে বহু শূদ্ৰযাজী দেখিয়া, শ্রোত্রীয় ব্ৰাহ্মণ সম্প্রদায় হইতে পতিত নিকৃষ্ট বর্ণযাজী ব্ৰাহ্মণকেও গত সেন্সাসে ‘বর্ণ বিপ্ৰ” বলিয়া অভিহিত করেন নাই। বহু ভাগ্য ফলেই ইংরাজরাজ ভারতের ভাগ্য বিধাতা হইয়াছেন । জাতিনির্বিশেষে তাহদের অপক্ষপাত বিচার গুণেই তাহাদের রাজ্যভিত্তি চিরদিন আমূল প্ৰতিষ্ঠিত থাকিবে। ইংরাজ রাজের কোন উচ্চ পদস্থ কৰ্ম্মচারী শাসন সৌকাৰ্য্যার্থে কোন অন্যায়