পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ ভ্ৰাপ্তি-বিজয় । মালায় সমগ্র জগৎ উদ্ভাসিত হইয়াছে, সেই জাতির ইতিহাস নাই। যে জাতির পণ্য ভারা ক্রস্থ পোতশ্রেণী চীন জাপান ও বোমের বন্দরে শোভা পাহাজ, ধাহাব বাঙ্গালার গৌরব দেশদেশান্তরে বিকীর্ণ করিত।” আজ তাহদের কিছুই নাই। ভাবতের ছিল না কি ? ছিল সবই । উন্নত সভ্য ও জগজ্জয়ী জাতি হইতে হইলে যাহা যাহা আবশ্যক, তৎসমুদয়ই আমাদিগের ছিল । একবারে আকাশ হইতে পড়িয়া যড় দশনে পবিপক্ক হওয়া সম্ভবপর নহে। অগ্ৰে বাহোন্নতিতে জগৎকে চমকিত কবিয়া পরে ত অন্তবৃষ্টিতে পাবলৌকিকী গবেষণােব উচ্চতম সোপানে আরোহণ করিয়াছে। হা বিধা তঃ ! এই সমস্তু জিনিষ গেল কোথায় ! কোন পাপে অন্তহিত হইল এক মাত্ৰ ব্ৰাহ্মণ্য ধন্নান হওয়ায় আৰ্য্য সমাজেব এত দুৰ্দশা ও অধঃপতন হইয়াছে। যিনি ব্ৰহ্মার আদি সৃষ্টি বলিয়া কথিত হইয়াছেন ; যিনি পৃথিবীন্থ সৰ্ব্বজনের অগ্রজন্মা, গুরু ও নেতা ; র্যাহাব অভু্যদয় প্রার্থনা করিয়া, র্যাহার প্রতি সাধন কামনায় সমগ্ৰ ভারতবর্ষ স্থ স্ব ধনমান বিষয়বিভব এমন কি প্ৰাণ পৰ্য্যন্ত ও বঁহাবি চাবণ তলৈ সমৰ্পণ করিতে কুষ্ঠিত হয় নাই ; র্যাঙ্কার অসীম তপোবলে, অক্ষুঃ জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম বিধান্সে, আৰ্য্যক্ষেত্র রোগ-শোক-দুঃখ-দাবিদ্র্য-বিষাদ-বিসম্বাদ-বিৰিজিৰ্জত হইয়া পরম সুখের ধৰ্ম্ম। শ্রম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল ; র্যাহার তপোবলে কোটী কোটী লোক অগণিত কাল ব্যাপিয়া অন্নপানে পরিতৃপ্ত থাকিয়া সদানন্দে বিদ্যাবুদ্ধি, মনুষ্যত্ব, বীরত্ব, ধৰ্ম্ম, অর্থ এক কথায় চতুৰ্ব্বৰ্গ পুরুষাৰ্থ সাধনে ক্ষম হইয়াছিল; যিনি সত্য সরলতা সৰগুণের জীবন্ত মুষ্টি, যিনি তুচ্ছ বিষয় কামনায় বশীভুত না হইয়া বরং সৰ্ব্বত্যাগী ও বৈরাগী কইয়া নিবিড় নিস্তািন্ধ গভীর আখ্যারণ্যে এই দেবপীঠে বসিরা, ফল মূল আহারে পবিত্ৰচিত্তে সকলের হিতকামনায় চিরদিন সেই আনন্দচিৰ্দঘন মুষ্ঠির ধ্যানে জীবন অতিবাহিত করাতে, র্যাহাক । আপোৱাসিত মস্তিষ্ক হইতে বেদ, আয়ুৰ্বেদ, ধদুৰ্ব্বেদ, জ্যোতিষ গণিতশাস্ত্ৰ