পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f चgि-श्चिम । সম্মাৎ পূর্বে, ২৪৪৮ খৃষ্ট পূর্বে ), ক্ৰমে কুন্তীয় গৰ্ত্তে ভীম, তৎপরে অর্জন এবং মাদ্রীর গৰ্ত্তে নকুল ও সকদেব যুগপৎ জন্মগ্রহণ করেন। কথিত আছে, ষে দিবস মহাবল ভীমসেন মাতৃগৰ্ত্ত হইতে ভূমিষ্ঠ হন, সেই দিবসেই দুৰ্য্যোধন গান্ধাৱী-গৰ্ত্ত হইতে প্ৰস্থত হন । এইরূপে মহারাজ পাণ্ডু কিছুকাল সেই সৰ্ব্বলক্ষণ-সম্পন্ন দেবতুল্য কুমারগণকে পরমানন্দে লালন পালন করিয়া, পরিশেষে দৈব বিড়ম্বনাবশতৃঃ করােল কাল-কবলে পতিত হইলেন। তদীয় কনিষ্ঠ মহিষী মাদ্রী যমজ পুত্রদ্ধয়কে কুন্তীর হস্তে সমৰ্পণ করিয়া স্বামীর সহমৃতা হন। অনন্তর কুন্ত্ৰীদেবী মুনিগণ সমভিব্যাহাবে কুমারগণকে হস্তিনাপুরীতে আনিয়ন করিলেন। অন্ধ নৃপতি, ধৃতরাষ্ট্র পাণ্ডু রাজার অকাল মৃত্যু সংবাদে যারপরনাই শোকাকুল হইলেন। পৌরজন দ্বাদশ দিবস শোকে সন্তাপে কালব্যাপন করিতে লাগিলেন। ত্ৰিয়োদশ দিবসে রাজা ধৃতরাষ্ট্র ভ্ৰাতার শ্ৰাদ্ধাদি কাৰ্য্য মহাসমারোহে সম্পন্ন করিয়া দুৰ্য্যোধনাদি শত পুত্ৰগণ ও যুধিষ্ঠিরাদি পাণ্ড, নন্দনগণকে গুরুসমীপে প্রেরণ করিলেন। তাহারা শীঘ্রই নানাশাস্ত্ৰে সুপণ্ডিত হইয়া উঠিলেন। দ্ৰোণাচাৰ্য্যই কৌরব ও পাণ্ডবগণের যুদ্ধবিন্যার শিক্ষাগুরু ছিলেন। ধনুৰ্ব্বেদে সকলেই সুপারগ হইলেও ভীম ও দুৰ্য্যোধন গদাযুদ্ধে, নকুল ও সহদেব খড়গযুদ্ধে, যুধিষ্ঠির রথে এবং অৰ্জ্জুন সকল বিষয়ে দক্ষতা লাভ করিলেন। ভীমের সহিত দুৰ্য্যোধনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জন্মিল। দুৰ্য্যোধন বাল্যকাল হইতেই ভীনের প্রতি হিংসা করিত। এক্ষণে আবাব পাণ্ডবগণের গুণগ্রাম অবলোকনে—বিশেষতঃ, অস্ত্ৰশিক্ষা-প্রদর্শনী সভায় ভঁাহাদেৱ’ প্রভাব প্ৰতিপত্তি দর্শনে প্ৰমুগ্ধ ও নিতান্ত আসক্ত পৌর ও জনপদবর্গের মুখে পাণ্ডবগণের ভূয়সী প্ৰশংসাবাদ শ্রবণ করিয়া ঈর্ষা-কলুষিত হৃদয়ে । দুৰ্য্যোধন, পাণ্ডবগণের বিনাশ সাধনের উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। অনেক কৌশলে পিতা ধৃতরাষ্ট্রকে বিমোহিত করিয়া পাণ্ডবগণকে