পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 वांख्रि-विक्षः ॥ করিয়া মৌৰ্য্যবংশীয় চন্দ্ৰগুপ্তকে (খৃঃ পুৰ্ব্ব ৩১৫ অব্দে) রাজ্যাভিষিক্ত করেন। তদনন্তর তাহার পুত্র বারিসার ও তৎপরে অশোকবৰ্দ্ধন রাজা হন। এই মহারাজ অশোক বৌদ্ধধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া ভারতে ও পৃথিবীর চতুর্দিকে বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিস্তার করিয়াছিলেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী পালবংশীয় নৃপগণ যখন গৌড়ে রাজা ছিলেন, তখন শাণ্ডিল্য গোত্রীয় বেদ পারগ ব্ৰাহ্মণগণ র্তাহাদের মন্ত্রী ছিলেন। জেলা বগুড়া ও দিনাজপুরের সীমার সন্নিহিত জঙ্গলের নিকট দিনাজপুর হইতে ৪• মাইল পূর্ব দক্ষিণ কোণে, যমুনা নদীর পূর্বপারে, গরুড়স্তম্ভ নামে একটী প্ৰস্তরস্তম্ভ আছে; এই স্তম্ভকে বাদলস্তম্ভও বলে। স্তম্ভের উপরিভাগে গরুড়মূৰ্ত্তি ছিল, তজ্জন্য উহার গরুড়স্তম্ভ নাম হয়। বজ্ৰপতনে গরুড়মূৰ্ত্তি ভাঙ্গিয়া গিয়াছে এবং স্তম্ভটী অপেক্ষাকৃত পুৰ্ব্বদিকে হেলিয়া রহিয়াছে। গাঢ় ধূসর। বর্ণের একখানি প্ৰস্তর দ্বারা স্তম্ভটী নিৰ্ম্মিত। স্তম্ভগাত্রে কতকগুলি সংস্কৃত শ্লোক লিখিত আছে। এসিয়াটিক রিসাচের ১ ভলাম, ১৩০ পৃষ্ঠায় শ্লোক গুলির ইংরাজি অনুবাদ প্রদত্ত হইয়াছে। বিন্দুভদ্রনামা শিল্পিদ্বারা স্তম্ভটিম নিৰ্ম্মিত ও শ্লোকাঙ্কিত হয়। পালবংশীয় রাজাদিগের মন্ত্রিবংশের ক্ষমতা ও যশোবর্ণনা করিয়া শ্লোকগুলি রচিত হইয়াছে। নারায়ণ পালের রাজত্বকালে ঐ স্তম্ভ স্থাপিত হয় । শ্লোকগুলিব মৰ্ম্ম এই--শাণ্ডিল্য ংলো ধীরদেব নামে জনৈক ব্ৰাহ্মণ ছিলেন ; তাহার বংশে পাঞ্চলের জন্ম হয়। তঁহার পুত্ৰ গৰ্গ, গর্গের স্ত্রী ইচ্ছ, ইচ্ছার গৰ্ত্তে দৰ্ত্তাপাণি জন্মগ্রহণ করেন। ইহার মন্ত্রণায় বৌদ্ধরাজ দেবপাল বিন্ধ্য হইতে হিমালয় পৰ্ব্বত পৰ্য্যন্ত দেশ জয় করেন । দৰ্ত্তের পুত্র সোমেশ্বর, তৎপুত্র রেকদার মিশ্র । ইহার মন্ত্রণায় বৌদ্ধরাজ শূবপাল উৎকল, হুন, দ্রাবিড় ও গুজরাট দেশ জয় করেন। কেদার মিশ্রেীর পুত্র গুরুব মিশ্র ( রাম গুরব মিশ্র) ইনি বৌদ্ধ ভূপতি নারায়ণ পালের মন্ত্রী ছিলেন। ইহারা গৌড়ীয় ব্ৰাহ্মণ বংশোদ্ভব ব্ৰাহ্মণ-রাঢ়ী বা বাবেঞ্জ ছিলেন না।