পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cগৗড়ে ব্ৰাহ্মণ্য শক্তি । e দশম শতদেয় প্রারম্ভে দেবপালের মৃত্যুর পর, বিগ্ৰহপাল গৌড়সিংহাসনে আরোহণ করেন । মহম্মদ ঘোরী কর্তৃক দিল্লী আক্রান্ত হইৰায় এখনও ২৫০ শত বৎসর বাকী। বাদলস্তম্ভে এই বিগ্ৰহপাল শুরপাল নামে অভিহিত হইয়াছেন । “সেই বৃহস্পতি তুল্য কেদার মিশের বিজ্ঞ স্থলে, সাক্ষাৎ ইন্দ্ৰতুল্য শত্রু-সংহারকারী নানাসাগর-মেখলাভরণা বসুন্ধরার চিরকল্যাণকামী শ্ৰীশূরপাল নরপাল স্বয়ং উপস্থিত হইয়া অনেকবার শ্রদ্ধাসলিলাপ্লত হৃদয়ে, নতশিরে পবিত্র [ শান্তি] বারি গ্ৰচণ করিয়াছিলেন ( ১৫ ) ।” অর্থাৎ গরুড়স্তম্ভের ১৫ শ্লোক দ্বারা অনুমতি হয় যে, কেদার মিশ্রেীর শাসন কৌশলে যুদ্ধবিগ্ৰহ দূরীভূত হইয়াছিল, বৌদ্ধ রাজশাসনকালেও সনাতন বোদ্যযজ্ঞে পূজা অৰ্চনায় পবিত্র শান্তিতে শূরপাল ওরফে বিগ্ৰহপাল রাজ্য করিয়াছিলেন । বিগ্রহপালের পত্নী মহারাণী লজার গৰ্ত্তাজাত নারায়ণ পাল পিতার মৃত্যুর পর গৌড় সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন ! সচিবশ্রেষ্ঠ কেদার মিশ্রের পুত্র গরুড়স্তম্ভ প্ৰতিষ্ঠাতা রামগুরব মিশ্র নারায়ণ পালের মন্ত্রী ছিলেন। গরুড়স্তম্ভে অঙ্কিত ১৯ শ্লোক দ্বারা “বিজিগীষু” নারায়ণ পাল তাহাকে মাননীয় মনে করিতেন সুচিত হইয়াছে । গরুড়স্তম্ভের ১৯ চাইতে ২৮ শ্লোক পৰ্য্যন্ত সচিবপ্ৰধান রামগুয়ব মিশ্রেীর, নীতিকুশলতায় বেদ-বেদাঙ্গ-জ্যোতিষ প্ৰভৃতি বিদ্যাবত্তার ভূয়সী প্ৰশংসা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । ভাগলপুরের তাম্রশাসন নারায়ণ পালের রাজত্বের ১৬শ বৎসরে সম্পাদিত হইয়াছিল। এই শাসনের আটটি শ্লোকে নারায়ণ পালের স্থায়নিষ্ঠা দানশীলতা ও সাধু চরিত্রের ভূরসী প্ৰশংসা করা হইয়াছে। গৌড়রাজমালা, ৩৯৩ পৃঃ । পরিশিষ্টে গরুড়স্তম্ভের সমুদয় শ্লোকগুলি - ৪ তাহাক্স অনুবাদ অর্থ कछ कबा हरेन ।