পাতা:ভ্রান্তি-বিজয় (প্রথম ভাগ) - হরিশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ে দ্রাহ্মণ্য শক্তি । পরিত্যাগ করিয়া পরহিতকর এবং পারিত্রিক মঙ্গলজনক কাৰ্য্যে ব্যাপৃক্ত, হইয়াছিলেন। রাঢ়দেশে (মুর্শিদাবাদ জেলায় ) “সাগরদীঘি”, বন্নেন্দ্ৰে ( দিনাজপুর জেলায় ) “মহীপালদাঘি” তঁাহার কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে । মহীপালের পুত্র নয়পাল ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে উদ্ধার করিয়া গৌড়রাজ্য অখণ্ড রাখিয়া যাইতে সমর্থ হইয়াছিলেন। নয়পালের পুত্র ৩য় বিগ্রহপাল গৌড়ের সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন এবং মহীপাল, শূরপাল ও রামপাল এই তিন পুত্ৰ বৰ্ত্তমান রাখিয়া পরলোক গমন করিয়াছিলেন। “রামচরিত।” কাব্যে তৃতায় বিগ্রহপালের পুত্রের এবং পৌত্ৰগণের রাজত্বের ইতিহাস বর্ণিত হইয়াছে। তৃতীয় বিগ্রহপালের পুত্ৰ দ্বিতীয় মহীপাল সিংহাসন লাভ করিয়া দুষ্কাৰ্য্যরত [ অনীতিকারম্ভরত ] হইয়াছিলেন এবং কনিষ্ঠ শূবপাল ও রামপালকে লৌহ-নিগড়ে নিবদ্ধ করিয়া কারাগারে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । দ্বিতীয় মহীপালের অত্যাচারে প্ৰজাবৰ্গ ও সামন্ত রাজগণ বিদ্রোহী হইয়া উঠেন । তখনকার জননায়ক রাষ্ট্রনীতিবিশাবাদ দিব্য বা দিবেবাক যুদ্ধে নহীপালকে নিহত করিয়া জনকভু বা পালরাজগণের জন্মভূমি বরেন্দ্রী অধিকার করিয়াছিলেন এবং তাহার অনুজ রূদোকের পুত্ৰ ভীম বরেন্দ্রীর রাজপদে অধিরূঢ় হইয়াছিলেন । মহীপালের ভ্ৰাতা রামপাল গৌড় পরিত্যাগ কক্লিয়া সমগ্ৰ আৰ্য্যাবৰ্ত্ত পরিভ্রমণ পূৰ্ব্বক সামন্ত রাজগণকে বশীভূত করতঃ মাতুল মহন দেবের আশ্রয়ে তৎপুত্র শিবরাজের কৌশলে মহাবল রাজা তীমকে যুদ্ধে নিহত করিয়া পালরাজ্যের পুনরুদ্ধার করেন। এই গৌড়ীয় মহাযুদ্ধে উভয় পক্ষে বহু লোকক্ষয় হইয়াছিল। বাঙ্গালা দেশের এই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অভিনয়ে সামন্ত রাজগণ বলহীন হইয়াছিলেন। এই রামপালের বিজয়-কাহিনী . রামচরিতে তাৎকালিক কবি সন্ধ্যাকর নদী বর্ণনা করিয়াছেন। রাম পালের পর তৎপুত্র মদনপাল সিংহাসন লাত, VaR !