পাতা:মণিপুরের সেনাপতি (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
দারােগার দপ্তর, ১৩৭ সংখ্যা।

২টা প্রকাণ্ড তোপ আনিয়া রেসিডেনসির সম্মুখে ও রাজবাটীর, তোরণের নিকট স্থাপিত করিল; এবং তাহা হইতে ব্জ্রনাদে গোলা-সকল বহির্গত হইয়া রেসিডেনসির উপর পড়িতে লাগিল। সেই স্থানে যে সকল সামান্য ইংরাজ-সৈন্য ছিল, তাহারা ক্রমে নির্বীর্য্য হইয়া পড়িল। তখন সেনাপতির বাড়ির ভিতর যে সকল সৈন্য ছিল এবং যে সকল সৈন্য ঐ বাড়ী বেষ্টন করিয়াছিল, তাহারাও রেসিডেনসিতে আসিয়া কর্ণেল স্কেনের সৈন্যের সহিত মিলিত হইয়া সম্মুখ-সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইল। উভয় পক্ষে তখন ঘোরতর সংগ্রাম চলিতে লাগিল। উভয় পক্ষ হইতেই অসংখ্য গুলিবর্ষণ হইতে লাগিল। যতই দিবা অবসন্ন হইয়া আসিতে লাগিল, মণিপুরিগণের বিক্রম ততই বৃদ্ধি পাইতে লাগিল; কামানদ্বয় ততই প্রচণ্ড নাদে গোলা উদগীরণ করিতে লাগিল। রেসিডেনসির ঘর-সকল ক্রমে চূর্ণ বিচূর্ণ হইতে লাগিল। সেনাপতি যখন দেখিলেন, সমস্ত ইংরাজ-সৈন্য আসিয়া একত্রিত হইল, তখন তিনি তাহার কেল্লার প্রাচীরের ভিতর হইতে গুলিবর্ষণ আরম্ভ করিলেন। এই প্রাচীরে যে সকল ছিদ্র প্রস্তুত ছিল, ঐ ছিদ্র দিয়া অনবরত গুলি আসিয়া ইংরাজ সৈন্যের উপর পড়িতে লাগিল। ইংরাজ-সৈন্য মরিতে লাগিল; কিন্তু মণিপুরিগণ যে কোথা হইতে গুলিবর্ষণ করিতেছে, তাহা কেহই দেখিতে পাইল না। এইরূপে দিবা ৫টা পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে উভয়ক্ষে গুলিবর্ষণ হইতে লাগিল। ইংরাজদিগের গুলি-বারুদ ক্রমেই কম পড়িতে লাগিল।

 এই সময়ে চিফ-কমিশনর দেখিলেন, বড়ই বিপদ। একবার ভাবিলেন, সমস্ত সৈন্ত লইয়া রেসিডেন্সি পরিত্যাগপূর্ব্বক