পাতা:মণিপুরের সেনাপতি (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
দারােগার দপ্তর, ১৩৭ সংখ্যা।

 চিফ কমিশনর প্রভৃতি অপর কয়েক ব্যক্তিও সৈন্যগণ কর্তৃক ধৃত হইয়া প্রধান জল্লাদ সাগনসেনকা-দানা সিংহের হস্তে অর্পিত হইলেন। সেই সকল সৈন্যের মধ্যে থঙ্গেল জেনারেল ছিলেন। সৈন্যমাত্রই সেই বৃদ্ধের আজ্ঞাধীন, তাঁহার বিনা অনুমতিতে কেহই কিছু করিতে সমর্থ নহে; সুতরাং এই ইংরাজ কয়েকজনকে হত্যা করিবার অনুমতি তাহার নিকট প্রার্থনা করিল। তিনি উহাদিগকে হত্যা করিবার আদেশ প্রদান করিলেন। কেহ কেহ বলেন, টিকেন্দ্রজিৎও সেই সময় সেইস্থানে উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনিও ইহার অনুমোদন করিলেন। পরিশেষে তাঁহাদের অদৃষ্টেও যাহা ঘটিয়াছিল, তাহা সকলেই বুঝিতে পারিতেছেন। মহারাণীর পাঁচ জন প্রধান কর্মচারী সেই প্রাসাদের ভিতরই মানবলীলা সম্বরণ করিলেন। সেই সময় হইতে পুনরায় গুলি চলিতে আরম্ভ হইল। আবার ইংরাজ সৈন্যগণও অস্ত্রধারণ করিল, আবার উভয় পক্ষে ঘোর যুদ্ধ উপস্থিত হইল। রাত্রি ২টা পর্যন্ত এইরূপ যুদ্ধ চলিতে লাগিল; ইংরাজ-সৈন্যের গুলিবারুদ প্রভৃতি যাহা ছিল, সমস্তই নিঃশেষ হইয়া গেল। তখন অনন্যোপায় হইয়া অবশিষ্ট ইংরাজ-সৈন্য পলায়ন করিল। সকলেই রেসিডেনসির পশ্চাৎ দরজা দিয়া বহির্গত হইয়া প্রাণভয়ে কাছাড়-অভিমুখে দ্রুতপদে ছুটিতে লাগিল। গ্রিমউড সাহেবের স্ত্রীও অনন্যোপায় হইয়া তাহাদিগের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিলেন। তাঁহার পরিধানে একমাত্র কাপড় ও পদে একযোড়া সামান্য বিনামা ভিন্ন আর কিছুই ছিল না; এমন কি, তাহার টুপিটিী পর্য্যন্ত লইতেও তিনি অসমর্থ হইয়াছিলেন।

 রেসিডেন্‌সি হইতে যেমন সকলে বহির্গত হইল, মণিপুরিগণও