৪৬
দারোগার দপ্তর, ১৩৩ সংখ্যা।
মসলিমের কথা শুনিয়া বিচারক তারামণির বাড়ীওয়ালাকে ডাকাইলেন। তিনি সেই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। আদেশমাত্র বাড়ীওয়ালা সেই স্থানে আসিয়া দণ্ডায়মান হইলে বিচারক মসলিমকে কহিলেন, “তুমি ইহাকে যাহা জিজ্ঞাসা করিতে চাহ, তাহা জিজ্ঞাসা করিতে পার।”
বিচারকের নিকট হইতে আদেশ প্রাপ্ত হইয়া মসলিম সেই বাড়িওয়ালাকে কহিল, “দেখুন দেখি মহাশয়, আপনি এই স্ত্রীলোকটাকে চিনিতে পারিতেছেন কি না?”
বাড়ীওয়ালা। হাঁ, চিনিতে পারিতেছি।
মসলিম। উহার নাম কি?
বাড়ি। তারামণি।
মসলিম। কোন্ তারামণি? যাহাকে হত্যা করা অপরাধে আমি অভিযুক্ত, সেই তারামণি, কি অপর কোন তারামণি?
মসলিম। যে তারামণি মরিয়া গিয়াছে বলিয়া আমরা স্থির করিয়াছিলাম, এ সেই তারামণি।
বাড়িওয়ালার কথা শুনিয়া বিচারক ও জুরিগণের মুখ দিয়া কিয়ৎক্ষণ' বাঙ্নিষ্পত্তি হইল না। কিয়ৎক্ষণ পরে বিচারক মহাশয় কহিলেন, “কি সর্বনাশ! যাহাকে হত্যাপরাধে দণ্ড দিতে আমরা প্রস্তুত হইতেছিলাম, এখন দেখিতেছি, সে সম্পূর্ণরূপে নির্দ্দোষ! যে ব্যক্তি হত হইয়াছে বলিয়া আমরা স্থির-সিদ্ধান্ত করিয়া লইয়াছিলাম, এখন দেখিতেছি, সে জীবিত! কি ভয়ানক!!”
বিচারক সর্বসমক্ষে এইরূপ বলিয়া, অপরাপর ব্যক্তিগণ যাহারা তারামণিকে চিনিত, তাহাদিগের প্রত্যেককেই এক এক করিয়া ডাকাইলেন, ও প্রত্য়েককেই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র রূপে