পাতা:মতিয়া বিবি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মতিয়া বিবি।

৪৭

জিজ্ঞাসা করিলেন। সকলেই একবাক্যে কহিল, “যে তারামণি মরিয়া গিয়াছে বলিয়া এই মোকর্দ্দমার অবতারণা, সেই তারামণি এই, সে মরে নাই।”

 সকলকে জিজ্ঞাসা করার পর বিচারক আর কাহাকেও কিছু না বলিয়া, মসলিমকে অব্যাহতি প্রদান করিলেন। মসলিম হাসিতে হাদিতে হানিফ ও কাছেমের সহিত সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিল। তারামণিও বাড়িওয়ালার সহিত আপন স্থানে প্রস্থান করিলেন।

 ইহার পর পুলিশ-কর্ম্মচারিগণ মহম্মদ মসলিম, মহম্মদ হানিফ, মহম্মদ কাছেম ও তাহাদিগের সহিত অপর যে সকল ব্যক্তি মতিয়া বিরির মৃতদেহ কবরস্থানে লইয়া গিয়াছিল, তাহাদিগের বিশেষরূপ অনুসন্ধান করিলেন, কিন্তু কোন স্থানেই আর তাহাদিগকে প্রাপ্ত হওয়া গেল না। তাহারা যে কোথায় গমন করিল, তাহা কেহই বলিতে পারিল না।

 তারামণিকে হত্যা করা অপরাধে বিচারক যে কেবলমাত্র মহম্মদ মসলিমকে অব্যাহতি দিয়াই ক্ষান্ত হইয়াছিলেন, তাহা নহে; পুলিশ-কর্ম্মচারিগণের উপরও তিনি কঠোর সমালোচনা করিতে কিছুমাত্র ত্রুটী করেন নাই। যে সকল পুলিশ-কর্ম্মচারী এই অনুসন্ধানে নিযুক্ত ছিলেন, তাঁহাদিগের বিপক্ষে পরিশেষে ভয়ানক অনুসন্ধান আরম্ভ হয়। ঐ অনুসন্ধান কোন আাদালত হইতে হয় নাই, পুলিশ-বিভাগের সর্ব্বপ্রধান কর্ম্মচারী এই অনুসন্ধান করিয়াছিলেন। ঐ অনুসন্ধানের মূল উদ্দেশ্য এই ছিল যে, পুলিশ কর্ম্মচারিগণ ইচ্ছা করিয়া মহম্মৰ মসলিমকে বিপদগ্রস্ত করিবার মানসে, এই মোকর্দ্দমার অবতারণা করি-