এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অযাচিত
সেলাই করিতে করিতে দুই একবার বোনের সহসা গম্ভীর মুখের দিকে চাহিয়া দেখিল। কল্যাণীর গম্ভীর মুখকে সকলেই একটু ভয় করিত। তাই সেও একটু আশ্চর্য্য হইল।
সহসা কল্যাণী জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি তা’হলে হৃদয় বাবুকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছ?”
সুমিত্রা ঈষৎ অপ্রতিভ হইয়া নত মুখে উত্তর দিল, “হাঁ। না হয়েই বা কি করি?” “কেন?”
কল্যাণীর গম্ভীর প্রশ্নে সুমিত্রা একটু উত্তেজিত হইয়া কহিল, “কেন, তা আর জিজ্ঞেস করোনা। মার এই এত বড় রোগের চিকিৎসা নাই, বাবার এই অবস্থা, ভাইবোন গুলির এই দুর্দ্দশা, এই মুহূর্ত্তেই সে সব ঘুচে যাবে জান, তবু জিজ্ঞাসা করচো, কেন?”— কল্যাণী একটু বেদনার সহিত কাপড়ের রিপু করা বন্ধ করিয়া বলিল, “সব সত্যি, কিন্তু তুমি কি সুখী হবে? সেই কথাটা ভাবো।”
সুমিত্রা জোর করিয়া যে ব্যথাটা মন হইতে সরাইয়া ফেলিতেছিল, সেই বেদনাটার উপরই আঘাত
১১৩