পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অযাচিত

মাকে রক্ষা করবার জন্য আত্মবলি দিয়েছে। জীবনে যে নরক যন্ত্রণা সইতে যাচ্চে, তার মরণের পরে নরকের ভয় কোথা?” কল্যাণী চুপ করিয়া রহিল।

 রাত্রে ছোট ভাই বোনগুলিকে ঘুম পাড়াইয়া, রুগ্না মাতার পায় হাত বুলাইয়া তাহাকে ঘুম পাড়াইয়া কল্যাণী রান্নাঘরে গিয়া দেখিল, হাঁড়ি হেঁসেল তুলিয়া সুমিত্রা কল্যাণীর ভাত একখানি পাথরে বাড়িয়া লইয়া বসিয়া আছে। কেরোসিনের ডিবের আলো অনর্গল ধূম বাহির করিতে করিতে মিট মিট করিয়া জ্বলিতেছে, আর সেই দিনের আলোরও অপ্রবেশ্য ক্ষুদ্র ঘরের দারুণ অন্ধকার ঈষৎ মাত্র দূর ও ঝুলের প্রচুরতা বৃদ্ধি করিতেছে। কল্যাণী মাটীর কলসী হইতে দুইটী ছোট চুমকি ঘটিতে জল গড়াইয়া আনিল। দুইখানি দেবদারু কাঠের পিঁড়ী আঁচল দিয়া মুছিয়া ঘরের বাহিরে রোয়াকের উপর পাতিল এবং জল-হাত দিয়া স্থানটী মুছিয়া হাত ধুইয়া ঘরে ঢুকিয়া বলিল, “দিদি এসো, ওমা! এতকটি ভাত কেন? কুলয়নি বুঝি?” সুমিত্রা বাড়া ভাতের পাথর খানা হাতে করিয়া তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, “না, না,

১১৫