পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুমল্লী

তা কেন, আমার আজ ক্ষিধে নেই, তুই খেতে বস্।” কল্যাণীর মুখ গম্ভীর হইয়া আসিল। সে দ্বারে পিঠ দিয়া কঠিন হইয়া দাঁড়াইল। গম্ভীর মুখে বলিল, “আজ তিন দিন হ’ল রোজই তোমার রাত্রে ক্ষিধে থাকে না, সকালেও রোজ কম পড়ে। আজ সকালেতো খাওয়াই হয়নি, এমন করে না খেয়ে ক’দিন বাঁচবে, দিদি? তুমি খাও, আমি আজ খাব না, আমিত ওবেলা পেট ভরে খেয়েছি।” সুমিত্রা ম্লান মুখে কষ্টে হাসি আনিয়া বলিল, “কি বলিস্ তার ঠিক নেই; সত্যি বলছি, আমার ক্ষিধে নেই, না হ’লে দুটী আর রেঁধে নিতে পারতুম না?”

 “চাল কোথায় যে, রাঁধবে? রোজ রোজ চাল কিনে কি চলে? একেবারে কিন‍্লেই হয়।”

 সুমিত্রা বাধা দিয়া বেদনার স্বরে কহিল, “টাকা কোথায় যে একবারে কিন‍্বো বল? ধারেই তো সব চলচে। কলী, বস্ ভাই, খেয়ে নে, মাথাটা বড্ড ধরেছে, আর দাঁড়াতে পাচ্ছিনে।”

 কল্যাণী একটা সুদীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “তবে

১১৬