পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অযাচিত

ইচ্ছাসত্ত্বেও চাহিয়া দেখিতে পারিলেন না। প্রথম দিনটা মনে যে কবিত্বের উচ্ছাস উঠিয়াছিল, আজ তাহা মিলাইয়া আসিয়াছে। বাগ‍্দত্তা স্ত্রীকে কি বলা যাইতে পারে, তাহা ভাবিয়া দেখা হয় নাই। যখন সঙ্কোচ কাটাইয়া তিনি মুখ তুলিলেন, তখন স্কুলগৃহের দ্বারের মধ্যে একখানি শুভ্র হস্তের একটা অংশ ও এক রাশি কাল চুল মাত্র চোখে পড়িল।

 কল্যাণী পরদিনও স্কুলে গেল। হৃদয়নাথ দৃঢ়সঙ্কল্প হইয়া বেলা তিনটার সময় হইতেই বাগানে রৌদ্র মাথায় করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। গোলাপগাছের কলম তৈয়ার করিবার জন্য মালীকেও হঠাৎ তাঁহার খুব দরকার হইয়া দাঁড়াইল, দু একটা গাছের কলম করা সম্বন্ধে পরামর্শ দিয়াই হৃদয়নাথ তাহাকে ফরমাইস্ করিলেন, “খুব ভাল ক’রে একটা গোলাপের তোড়া তৈয়ার কর দেখি।” মালী আজ্ঞা পালন করিল। তোড়াটা হাতে লইয়া কিন্তু, হৃদয়নাথের একটু লজ্জা করিতে লাগিল, মালীটা কিছু বুঝিতে পারে নাই ত?

 সকলেই এতাবৎকাল তাঁহাকে নির্হৃদয় কৌমার্য্য-

১২৩