পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুমল্লী

তাহাকে এত বড় একগুঁয়ে তৈরি করিয়া তুলিয়াছিলেন। আজিকার এই অসঙ্গত অনুরোধে দাদা মশাই যখন হাসিয়া বলিলেন; “এই দেখো, পাগলী মেয়ে কোথা থেকে একটা হুকুম নিয়ে এলো।”—আর তার উত্তরে অ্যালিস তাঁহার দেহের উপর আরো একটু হেলিয়া আবদারের সঙ্গে বলিতে লাগিল, “না দাদা সত্যি, ওকে থাক্‌তে বলোনা। ওকে আমার খুব ভাল লাগে, ও এবার থেকে আমাদের বাড়ী থাক্।” তখন টেবিলের অপর পার্শ্বে বসিয়া, যে এতক্ষণ চুপ করিয়া চা পান করিতেছিল, সেই ব্যক্তি চা পান বন্ধ করিয়া বিরক্ত স্বরে বলিল “লিসা! তোর এ সব ভারি অন্যায় কথা। ও তোর কথায় চাকরী ছেড়ে দেবে নাকি? তুই আজকাল ভারী আবদার আরম্ভ করেছিস্ যে দেখতে পাই।” এই যুবক অ্যালিসেরই বড় ভাই। নাম চার্লস ফষ্টার, হেন্‌রী ফষ্টারের ভ্রাতুষ্পৌত্র এবং তাঁহার সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী। যুবক ফষ্টার সুশ্রী, সবল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি-ভূষণে ভূষিত। সম্প্রতি দাদা মহাশয়ের আদেশে পড়া শুনা ছাড়িয়া আসিয়াছে।

১৩৪