নিয়মাচরণ করিতে প্রবৃত্ত হইলে হেন্রী ফষ্টার বাধা দিলেন,—“একটু অপেক্ষা করুন, এখনও তো বর—” এমন সময় বাহিরে একটা শব্দ শোনা গেল এবং পর মুহূর্ত্তে সশব্দে দ্বার খুলিয়া একজন লোক তাঁহাদের সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল। তাহাকে দেখিয়া সকলে স্তম্ভিত হইয়া গেল, ফ্যানী সঘনে কাঁপিয়া উঠিল। সে রুদ্র মূর্ত্তি চালর্স ফষ্টার। চার্লস হস্তস্থিত পিস্তল উঠাইয়া ফ্যানীর ললাট লক্ষ্য করিয়া বিকট হাসি হাসিয়া তাহার আগুনের মত উজ্জ্বল চোখ দুইটা পিতামহের পানে ফিরাইয়া বলিল, —“দাদামশাই! দেখছেন—চার্লস ফষ্টার এমনি করে তার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করে।” মুহূর্ত্ত মধ্যে হেন্রী চীৎকার করিয়া উঠিলেন—“এইবার বিবাহ আরম্ভ হোক, চালর্স! তুমি এ কি অসময়োপযোগী অভিনয় ক’রতে এলে! ঐ বাক্সে পোষাক আছে পরো। শীঘ্র তোমার নিজের স্থানে এসে দাঁড়াও।
পিস্তলটা নত হইয়া পড়িল, গভীর বিস্ময়ে দুই পদ হটিয়া গিয়া চার্লস পিতামহের মুখের দিকে অবাক হইয়া চাহিয়া রহিল। হেনরী এই অবসরে ধীরে ধীরে মুহ্যমান