পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধুমল্লী

রকমই লাভ করিয়া আসিত। আর ইহাও এক বিচিত্র ব্যাপার যে, ঐ সকল সুপরিচ্ছদধারী সুন্দরমূর্ত্তি নরনারীদের দেখিলে তাহারও প্রাণের মধ্যে কি যেন একটা আকুলতা উদ্দাম হইয়া উঠিতে চাহিত; তাহাদের সান্নিধ্য সে চুম্বক পাথরের আকর্ষণের মত কিছুতেই যেন ছড়াইয়া লইতে পারত না।

 একদিন গুলজান্ দেখিল, ইয়াসিন্ নিজের অঙ্গ হইতে দড়ি বাঁধা মিরজাই খুলিয়া রাখিয়া বিস্ময় ব্যাকুলনেত্রে নিজের অঙ্গের প্রতি চাহিয়া আছে। গুলজানকে দেখিয়া সে ইঙ্গিতে কাছে আসিতে বলিল, কম্পিতপদে গুলজান্ নিকটে আসিলে, সহসা যুবক জিজ্ঞাসা করিয়া উঠিল “মা এর মানে কি আমায় ব’লো, কেন আমার গা এত সাদা? আমি শুনেছি—আজই শুনেছি—লোকে বলে—ওঃ আমি বলতে পারিনে—সে কি ভয়ানক কথা; —বলে আমি তোমার জারজ সন্তান। আমি সাহেবের ছেলে।”

 সর্পাহতের মত গুলজান আড়ষ্ট হইয়া রহিল, তাহার মুখে বাক্য সরিল না। সুদীর্ঘ দিনে যে স্মৃতি অস্পষ্ট হইয়া আসিয়াছিল, সহসা তাহা মেঘোদ্ভিন্ন সূর্য্যকিরণের মত

১৪