পাতা:মধুমল্লী - অনুরূপা দেবী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

ফুটিয়া উঠিল। নিষ্ঠুর সন্দেহে ইয়াসিন্ উন্মাদের মত লাফাইয়া মায়ের হাত চাপিয়া ধরিল।

 “সত্যি, তবে সত্যি! আমি তবে সাহেবের ছেলে?”

 যন্ত্র চালিতের মত গুলজান উত্তর করিল “হ্যাঁ”।

 “রাক্ষসি!” ইয়াসিন্ বাঘের মত গর্জ্জিয়া উঠিল “কেন আমায় নুন খাইয়ে মারিসনি?”

 গুলজানের সর্ব্বশরীর কাঁপিতেছিল। আত্মপরিচয় জানিয়া লইয়াছে, এইখান হইতেই সে তবে নিজের জন্য পথ নির্ব্বাচন করিয়া লউক। সে যে কোন্ পথ বাছিয় লইবে, ইহাও সে জানিত। কম্পিতস্বরে কহিল “বাছা, আমার সব কথা না শুনে তুমি রাগ করো না, আগে সবটা স্থির হয়ে শুনে যাও”—এই বলিয়া সে সমস্ত কাহিনীটা এক নিশ্বাসে বলিয়া গেল। সে বলিল “তুমি সাহেবের ছেলে এ কথা সত্য, কিন্তু আমার গর্ভে তোমার জন্ম হয়নি। আমার গর্ভজাত সন্তান ইয়াসিনের ষোল বৎসর পূর্ব্বে মৃত্যু হয়েছে; তুমি মেম সাহেবের পুত্ত্র। তোমার বাপ তোমার মাকে দুচক্ষে দেখ্‌তে পারতেন না, তোমার প্রতিও তাঁর এতটুকু স্নেহ

১৫