এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বর্গচ্যুত
এদের মনের মধ্যে সকল সময়ে পরস্পরের প্রতি অচঞ্চল ধ্রুব তারকার মত নির্নিমেষে জাগ্রত হয়ে আছে? প্রশংসাপূর্ণ আদরে তাকে চুম্বন করে বল্লেম, “তোমার দাদার জন্য তুমি যত ইচ্ছে আমার বাগান থেকে ফুল কেন নিয়ে এসোনা কাঞ্চী! আমি তো কদিন থাক্বো না, তুমি নিজে গিয়েই অনেক করে ফুল এনো। আমি সইসকে বলে দেব এখন।”
কাঞ্চী আমার কথা শেষ না হতেই চকিত হয়ে আমার পানে চাইলে, “থাক্বেন না, কোথা যাবেন?”
“বাংলায়, আবার শীঘ্র আসবো।”
কিন্তু আমার সান্ত্বনায় কাঞ্চী যেন তেমন খুশী হল না, সে ঈষৎ একটা নিশ্বাস ফেলে হঠাৎ মুখ নীচু করে নিলে, স্পষ্ট দেখতে পেলুম তার স্বচ্ছ চোখ দুটিতে জল টলটলিয়ে এসেছে।
ক’দিন কাজকর্ম্ম ও বন্ধু বান্ধবের আদর আপ্যায়িতের ভেতরও তাদের কথা মন থেকে একবার মিলিয়ে যায়নি। সেই দুফোঁটা অশ্রুজল যেন আমার বুকে সুখের বেদনায় সকল সময়েই নিদাঘের বারিবিন্দুটুকুর মতন
৩৫