টলটল কর্ছিল। সেই দুটি অশ্রুবিন্দু, যে জাহবীবারির মতই পবিত্র!
সারাদিন সময় ছিল না, কিন্তু রাত্রে স্তিমিকালোক নির্জ্জন শয়নকক্ষে তপ্ত শয্যার মধ্যে প্রবেশ কর্লেই আমার স্মৃতির বাঁধন খসে পড়তো। মনে হতো আমার বিহনে তাদের না জানি কতই কষ্ট হ’চ্ছে! আহা কচি কচি ফুলের মতন যে দুখানি নরম হাত একটুতেই যেন তাতে রক্ত ফুটে ওঠে। ঘুমিয়ে ও নিস্তার ছিল না, স্বপন দেশের পরীরাণী কাঞ্চীর মুখের মতন মুখোস পরে মাথার শিওর ঘেঁসে নিত্য নিত্যই আনাগোনা আর করে দিয়েছে; আশ্চর্য্য হচ্ছি এইটিতেই তারা অনেক দূরের প্রবাসী, কেমন করে এই শুখ্নো প্রাণের দুর্ব্বলতা এরি মধ্যে টের পেয়ে গেল! এদের চরগুলোতে দেখচি আমাদের কল্কাতা সহরের গুপ্তচরের চেয়েও সজাগ থেকে টাট্কা খপর সব রপ্তানি করে থাকে।
অনেকদিন প্রকৃতি দেবীর বিশ্রামকুঞ্জ নেপালের পার্ব্বত্য প্রদেশে বাস করে, এখন এই সহরের লোকগুলোকে তাদের অফিসের কাপড় পরা ধূলা, ধোঁয়া ও