জনতা ভেদ করে কর্ম্ম ত্রস্ত ব্যস্তভাবে যাওয়া আসা কর্তে দেখতুম, আর তাদের জন্য মনের ভেতরে করুনার রাশি পুঞ্জীভূত হয়ে উঠতে থাক্ত। মুখে সর্ব্বদা সতর্ক উত্তেজনা, গতি যেন ঝড়ের হাওয়ার মতন চঞ্চল, বিশ্রাম বলে একটা জিনিষের সঙ্গে এর যেন পরিচিত হবার সুযোগই পায়নি। হয়ত এরা কল্পনা কর্তে পারে না যে, এই সংঘর্ষময় বিচিত্র কর্ম্মক্ষেত্রের বাইরে এমন একটি শ্যামল শৈল প্রান্তর তার প্রান্তভাগকে ফুলে ফলে পাখীর গানে, মায়ের বুকের মতন স্নেহভরা উচ্ছ্বাসে পূর্ণ করে রেখে এমন হেসে আহ্বান কর্তে পারে যে, তাতে সকল ক্লান্তি, সমস্ত অবসাদ মায়ের হাতের স্পর্শের মতনই নিঃশেষে মুছিয়ে দিয়ে মানুষকে স্বর্গের শান্তি দান করতে সক্ষম হয়। কি উদারতা তার আকাশে! তার বাতাসে মেশানো কি পুঞ্জ পুঞ্জ সহানুভূতি!
ফেরবার সময় এলো, আমি যেন বাঁচলুম। বড় বড় ভোজ, থিয়েটার সমিতি, নাচ, মানবচিত্তের লঘুতার শত পরিচয়, উঃ! প্রাণটাকে যেন পাথরের জাঁতায়