আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা কর্লুম, কিন্তু কি হবে সে চেষ্টায়, যার প্রথমে অতটা অগ্রাহ্য করা হয়ে গ্যাছে? রাত যখন এগারটা তখন হঠাৎ খুব ঘাম হতে লাগলো, আমার দিকে চেয়ে অস্ফুট বিদেশী ভাষায় আমার দেশেরই ডাক্তার বল্লেন “শেষ অবস্থা!” বলবার কিছুই দরকার ছিল না, অবস্থা নিজেই তা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছিল।
দূরে ধর্ম্মশালার ঘড়িতে দ্বিপ্রহরের ঘোষণায় ঘুমন্ত স্তব্ধ রাত্রি যে সময় চকিত হয়ে উঠ্লো, ঠিক সেই সময়েই বালকের শেষ নিশ্বাস টুকু তার ক্ষুদ্র দেহপিঞ্জর ছেড়ে অনন্ত বায়ুর সঙ্গে মিশে গিয়ে কোন্ সেই অজানা শান্তির দেশের উদ্দেশে চলে গেল, যেখানকার কোন খবরই এপর্য্যন্ত কেউ পায়নি, চিরকাল ধরে শুধু একটা অনুমান ও কল্পনা চল্ছে।
তার নিস্পন্দ দেহ নিয়ে যখন আমার বৃথা আশার কুহকে পড়ে পরীক্ষা কর্চি, তখনও তার গভীর বিশ্বাসী মার মনে একটুখানিও সন্দেহ আসেনি যে, তাঁর স্নেহের ধন তাঁকে কত বড় ফাঁকি দিয়েছে। ব্যস্ত-