এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বর্গচ্যুত
সেই রাত্রেই কাঞ্চীর জ্বর হলো। মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল, রাত পোহাতেই ডাক্তারকে আনলুম। ডাক্তারটি বড় ভদ্রলোক। খুব যত্ন করে দেখ্তে লাগলেন! বল্লেন, “ভয় কি, এবার প্রথম থেকে যত্ন হ’চ্চে, চিকিৎসা হ’চ্ছে, নিশ্চয়ই সেরে যাবে?” আমিও তাই ভাবছিলুম।
প্রথমটা সে ওষুধ খেতে একটু আপত্তি করেছিল, শেষটায় আমার আগ্রহ-ব্যাকুল অনুরোধে সে আর কিছুতেই আপত্তি করতো না।
তিন দিনের দিন সে আর চোখ মেল্লে না। ডাক্তার মুখভার করে বল্লেন, ‘সেই অবস্থা!’ আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত একটা তাড়িতের স্রোত ছুটে গিয়ে সর্ব্বশরীরের স্বচ্ছন্দ রক্তস্রোতকে হঠাৎ যেন জমিয়ে বরফ করে দিলে। ব্যাকুল হয়ে তাঁর হাত দুখানা চেপে ধরলুম, কি বল্চি কি কর্চি না জেনেই বলে উঠ্লুম বাঁচাও, আমার কাঞ্চী মায়ীকে বাঁচাও, সর্ব্বস্ব তোমায় দেব।
ডাক্তার মুখ আরও গম্ভীর করে বল্লেন, “ও
৪৫