সম্মুখের একখানা সোফায় তাহাকে বসাইয়া ডিরোলেড তাহার পাশে একখানা নীচু চৌকির উপর বসিয়া একটু শুষ্ক ভাবে হাসিয়া উত্তর করিল, “এখনকার দিনে যেকোন বিদায়ই যে চিরবিদায় হ’তে পারে না। মাদ্ময়সেল্! কে একথা জোর করে বল্তে পারে? তবে আপাততঃ আমি এক মাসের জন্য কনসারজারিতে দূর্ভাগিণী রাজ্ঞীর ভার নেবার জন্যই যাচ্চি, তারপর আবার কি ঘটে!”
“যে কোন কারণেই হোক্ তা’হলে আজ রাত্রের বিদায় আমাদের বহুদিনের বিদায়ই হবে বোধ হ’চ্ছে—না, সিটিজেন্ ডিরোলেড?”
এই একমাস আমার নিকটে এক শতাব্দীর মতই দীর্ঘ বলে আজ মনে হ’চ্ছে, বিশেষ যখন তোমায় না দেখে আমায় এই এক মাস কাটাতে হবে। কিন্তু যেন অনিচ্ছার সহিত আত্মবিস্মৃত ভাবে এই পর্য্যন্ত বলিয়া ভূতপূর্ব্ব ব্যারণ অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত তাহার পার্শ্ববর্ত্তিনীর সেই আশ্চর্য্য দৃষ্টির মধ্যে অনুসন্ধিৎসুনেত্রে চাহিয়া রহিল। তারপর অত্যন্ত মৃদুস্বরে সন্দেহপূর্ণ আশার সহিত