হাতে ধাত্রীর কুত্তাটা চাপিয়া ধরিল। কাপ্তেন সাহেব স্ত্রীর হাত ধরিয়া বললেন,—
“কোনও দরকার নেই ক্লেরা! ওটাকে আমি আয়ার হাতে দিয়েছি। ছেলের হাঙ্গাম তোমায় বইতে হবে না, চলো আমরা বেড়িয়ে আসি।”
তাহার বুকের দুলালকে পাছে কাড়িয়া লয় এই ভয়ে গুলজানের নিশ্বাস যেন রুদ্ধ হইয়া আসিতেছিল—মনিবের কথা শুনিয়া হাঁপ ছাড়িয়া বাঁচিল। শিশুকে সে চুম্বনের পর চুম্বন করিয়া বিব্রত করিয়া তুলিল।
কিন্তু এ আনন্দ স্থায়ী হইল না। গুলজান শীঘ্রই বুঝিতে পারিল পদ্মপত্রে জলবিন্দুর মত তাহার অধিকার এখানে প্রতি মুহূর্ত্তেই অস্থায়ী হইয়া উঠিতেছে। নূতন গৃহিণী তাহাকে দেখিতে পারেন না।
সপত্নীসন্তান সাধারণতঃ বিমাতার স্নেহভাজন হইতে পারে না। বিশের্ষ আবার যেখানে স্বয়ং শিশুর পিতাই তাহার প্রতি স্নেহলেশহীন! জেসুন্ তাহার সৌখীন বিমাতার চক্ষুশূল হইতেছিল।
একদিন গুলজান্ নিজের ঘর হইতে উচ্চ ক্রন্দনের