“বাদশাহের দরবারে ফিরিঙ্গির অত্যাচারের কথা নিবেদন করিব।”
শাহ্নওয়াজ খাঁ বলিলেন, “উত্তম কথা, আমিও ফিরিঙ্গি হার্ম্মাদের অত্যাচারের সাক্ষী বাদশাহের দরবারে উপস্থিত করিতে চাহি। এই কাফের মোল্লা আমার সহিত যাইতে প্রস্তুত আছে; পাদ্রী যে কাফের ফকীরকে পীড়ন করিয়াছিল তাহাকেও লইয়া যাইতে পারিলে ভাল হয়।”
আসদ্ খাঁ বলিলেন, “উত্তম।”
গুলরুখ্ সপ্তগ্রামে ফিরিয়া আসিয়া রাদন্দাজ্ খাঁর গৃহে বাস করিতেছিলেন, তাঁহার ভৃত্যবর্গ একে একে ফিরিয়া আসিয়াছিল। গৃহে ফিরিয়া শাহ্নওয়াজ খাঁ গুলরুখকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা, আমরা কল্য আগ্রা যাত্রা করিব, তোমরা কোথায় যাইবে?” যুবতী কহিল, “কোথায় যাইব তাহাত স্থির করি নাই? মনে করিতেছি, আপনার সহিত আগ্রায় যাইব।”
“চল, আমরা কল্য প্রভাতে যাত্রা করিব।” “আমিও যাইব। আমার স্বামীর কোন সন্ধান পাওয়া গিয়াছে কি?” “গিয়াছে, তিনি হুগলীতে এক কাফের রমণীর গৃহে আশ্রয় লইয়াছিলেন, পরে সে স্থান হইতে পলায়ন করিয়াছেন। মা, তোমার স্বামী কি কাফের ছিলেন?”
“ছিলেন, তিনি আমাকে বিবাহ করিবার জন্য মুসলমান হইয়াছিলেন।” “তুমি কি তাহার পূর্ব্ব পরিচয় জান?”