পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৪
ময়ূখ

 “কত দিব?”

 “দশটা কি পনেরটা আশ্‌রফি দিয়া ফেল না?”

 “পোড়ার মুখি, অতগুলা টাকা লইয়া কি করিবি?”

 “কেন, বেগম সাহেবকে দোয়া করিব, দুই দোস্তে সরাব খাইব, আর গর হাজির খসম্‌কে সোয়াবগাহে হাজির করিয়া দিব?”

 “পনের আশরফির সরাব খাইবি?”

 “বেগম সাহেব, এ তোমার কর্ম্ম নয়; এ আগ্রা সহর, কথায় বলে দার্‌-উল-মুল্‌ক আগ্রা। বেগম সাহেব, বাদশাহী কিল্লায় বসিয়া কৃপণ হইলে চলিবে না, যদি খসম চাও মুঠ মুঠা আশরফি ছাড়।”

 “তোর যত টাকা লাগিবে দিব, কিন্তু তুই পনের আশরাফী কি করিবি?”

 “দুইটা আশরাফী দোস্তকে বায়না দিব, একটা আশরাফী এক বেটা ফিরিঙ্গি গোলন্দাজ্‌কে ঘুস্‌ দিয়া দশ কার্ফা আরক চোলাই করিয়া লইব, তাহাতে আন্দাজ দশ আশরাফী খরচ হইবে। সহরের খরচের জন্য মোট দুইটা আশরাফী রহিল।”

 যুবতী তাতারীকে কাগজ কলম আনিতে বলিল। কাগজ আসিলে তাহাকে এক পত্র লিখিয়া দিল, মুখে বলিল, “জুম্মা মসজিদের পার্শ্বে আমার আমিল্‌ নাজীর আহম্মদ খাঁ আছে, তাহাকে এই রোকা দিলে তোকে পনের আশরাফী দিবে।” তাতারী আশরাফী লইয়া সেলাম করিল এবং কহিল, “এইবার