পাতা:ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ষোড়শ পরিচ্ছেদ
১১১

করিলেন। আসফ্‌ খাঁ সুবর্ণের রেলিংয়ের সম্মুখে দাঁড়াইয়া তিনবার অভিবাদন করিলেন, বাদশাহ সিংহাসনে বসিয়া প্রত্যভিবাদন করিলেন। আসফ্‌ খাঁ সিংহাসনের নিয়ে গিয়া দাঁড়াইলেন।

 সহস্র উষ্ট্র এবং সহস্র সুসজ্জিত অশ্ব বাদশাহকে অভিবাদন করিয়া চলিয়া গেল। তখন খাস চৌকীর মন্‌সবদারের সেনা বাদশাহের সম্মুখে আসিয়া অভিবাদন করিয়া স্বস্থানে প্রত্যবর্ত্তন করিল। দুর্গের বাহির হইতে দলে দলে অশ্বারোহী ও পদাতিক সেনা নাকারাখানার পথে প্রবেশ করিয়া বাদশাহকে অভিবাদন করিতে আসিল। পঞ্চাশৎ সহস্র অশ্বারোহী ও লক্ষ পদাতিক আসিতে যাইতে দুই দণ্ড সময় লাগিল। এই অবসরে বাদশাহ আর্জী শুনিতে লাগিলেন। সমস্ত সৈন্যের অভিবাদন শেষ হইলে নাকারা থামিল, তখন আসফ্‌ খাঁ অস্ফুটস্বরে বাদশাহকে কি বলিলেন। বাদশাহ সম্মতি দিলেন, একজন চোপদার যুবককে রজতের রেলিংয়ের সম্মুখে আনিল। যুবক আসফ্‌ খাঁর ন্যায় অভিবাদন করিল।

 বাদশাহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “সাহেব, এই যুবা কে?” আসফ্‌ খাঁ অভিবাদন করিয়া কহিলেন, “ইহার নাম ময়ূখ, ইহার পিতা দেবেন্দ্রনারায়ণ সুবা বাঙ্গালার একজন জমিদার ছিল, জিন্নৎমকানী নূরউদ্দীন জহাঙ্গীর বাদশাহের সময় ইহার পিতা তখ্‌তের বহুৎ খিদ্‌মৎ করিয়াছে।”

 বাদশাহ হাসিয়া কহিলেন, “স্মরণ আছে, আমি যখন