বিদ্রোহী হইয়াছিলাম তখন উড়িষ্যা ও আক্বরাবাদে ইহার পিতা আমার সহিত লড়াই করিয়াছিল।”
“শাহান শাহ্ বাদশাহের হুকুমে দেবেন্দ্রনারায়ণ শাহজাদা খুর্রমের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিয়াছিল, ভরসা করি শাহার-উদ্দীন মহম্মদ্ শাহ্জহান্ বাদশাহ লাজী সাহিবি কিরাণমানি সে অপরাধ গ্রহণ করিবেন না।”
এই সময়ে তৃতীয় স্তরে ইফ্তিকার্-উল্-মুলক্ আসদ্ খাঁ ও দ্বিতীয় স্তরে মনিরুদ্দৌলা শাহ্নওয়াজ খাঁ অভিবাদন করিলেন। দেওয়ান-ই-আমের রীতি অনুসারে নকীব হাঁকিল, “রৌশন্-উল্ মুলক্ মুনিরুদ্দৌলা শাহ্নওয়াজ খাঁ হয়বৎ জঙ্গ হজরৎ জলালী।” বাদশাহ শাহ্নওয়াজ খাঁর দিকে চাহিলেন, বৃদ্ধ নবাব পুনরায় অভিবাদন করিয়া কহিলেন, “শাহান্ শাহ্, কাফের ফিরিঙ্গি যখন বাদশাহী বন্দর সপ্তগ্রাম আক্রমণ করিয়াছিল তখন এই কাফের যুবা সপ্তগ্রাম রক্ষা করিয়াছিল।” বাদশাহ আসদ্ খাঁর দিকে চাহিলেন, নকীব হাঁকিল, “ইফ্তিকার-উল্-মুলক সৈফ্উদ্দৌলা আমীর-উল্-বহর আসদ্ খাঁ শমসের জহাঙ্গীরী।” আসফ্ খাঁ অভিবাদন করিয়া বলিলেন, “জহাপনা, সুবাদার মোকরম্খাঁর আমলে সপ্তগ্রামে ফিরিঙ্গির সহিত যে লড়াই হইয়াছিল বন্দা সে সংবাদ পূর্ব্বেই নিবেদন করিয়াছে। ফিরিঙ্গির গোলার ভয়ে ফৌজদার কলিমুল্লা খাঁ পলায়ন করিলে, এই যুবা সপ্তগ্রামের এক বণিকের সেনা লইয়া বাদ্শাহী বন্দর রক্ষা করিয়াছিল।”