ছেন, এমন সময়ে এক ব্যক্তি তাঁহার স্কন্ধে হস্তার্পণ করিল। ময়ূখ ফিরিয়া দেখিলেন যে তাঁহার পার্শ্বে আসদ্ খাঁ দাঁড়াইয়া আছেন। ময়ূখ ফিরিয়া দাঁড়াইয়া অভিবাদন করিলেন, আসদ্ খাঁ তাঁহাকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন, “ময়ূখ, তুমি দেবেন্দ্রনারায়ণের পুত্র, আমার জীবনদাতা, বহুদিন পরে তোমার দর্শন পাইয়া আজ বড়ই আনন্দ লাভ করিয়াছি। তুমি কি করিবে?”
“বাদশাহের অধীনে চাকরী পাইলে গ্রহণ করিব।”
“এতদিন কোথায় ছিলে?”
ময়ূখ সপ্তগ্রামের যুদ্ধের পরে তাহার যে অবস্থা হইয়াছিল, তাহা যতদূর জানিতেন বলিলেন, তখন আসদ্ খাঁ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “ময়ূখ, তুমি কত দিন আগ্রায় আসিয়াছ?”
“প্রায় তিন বৎসর হইল।”
“এতদিন কি করিতেছিলে?”
“জীবিক অর্জ্জনের উপায় অন্বেষণ করিতেছিলাম। বাদশাহ দরবারে কোনও পরিচিত ব্যক্তি ছিল না বলিয়া এতদিন কিছু সুবিধা করিতে পারি নাই।”
“আজি কি উপায়ে আসিলে?”
“সেই বৈষ্ণবী হজ্রৎ বাদশাহ বেগমকে সূঁচের কাজ শিখাইতে যায়, তিনি নবাব আসফ্ খাঁকে পত্র দিয়াছিলেন, সেই জন্য উজীর স্বয়ং আমাকে সঙ্গে করিয়া আনিয়াছেন।”