করি, তখনও সে আগ্রায় ছিল। এতদিন পরে তাহার সন্ধান পাইলাম বটে, কিন্তু দর্শন পাইলাম না।”
উজীর তাঁহাকে আশ্বাস দিয়া কহিলেন, “আপনি ব্যস্ত হইবেন না, আমি যখন তাহাকে দেখিয়াছি তখন আপনিও তাহাকে দেখিতে পাইবেন।”
“তাহার জন্য তাহার পুরজন বড় ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছেন।”
“আপনি তাঁহাদিগকে শান্ত করুন, ব্যস্ত হইলে চলিবে না; আমি তাঁহার উপর নজর রাখিয়াছি।”
“সে কবে ফিরিবে? কবে তাঁহার সাক্ষাং পাইব?”
“তাহা বলিতে পারি না, তবে শীঘ্রই ফিরিবেন, শীঘ্রই তাঁহার সাক্ষাৎ পাইবেন। আপনার সহিত যে ফকীর সপ্তগ্রাম হইতে আগ্রা আসিয়াছিল সে এখন কোথায় আছে?”
“কাহার কথা বলিতেছেন, চৈতন্যদাস?”
“নাম স্মরণ নাই, হুগলীতে পর্ত্তুগীজ পাদ্রী যাহার অস্থি চুর্ণ করিয়াছিল তাহারই সন্ধান করিতেছি।”
“সে বৃন্দাবনেই আছে।”
“কোথায় আছে?”
“শচীনন্দন গোস্বামীর আশ্রয়ে আছে, ভিক্ষা করিয়া দিনপাত করে।”
“তাহাকে আগ্রায় আনিতে হইবে।”
“সে বোধ হয় আসিতে চাহিবে না।”